(রুবাই ১৮) তুমি
----------------
তুমি জান না কত যে তোমার ভুল!
এটা আসলে যত সব সমস্যার মুল,
স্বার্থহীন অনুরাগেই সব সময় আমি,
তোমাকেই দিতে চেয়েছি কত ফুল!


(রুবাই ১৯) স্বার্থপর
------------------
সদা বলি আমি কখনো স্বার্থপর নই,
ত্রুটি আমার কারণ ভালোবাসি বই!
দোষ খুঁজে তুমি কি যে মজা পাও?
বিশ্বাসটা নেই তোমায় কত যে কই!


(রুবাই ২০) পুরষ্কার
-------------------
ভাল থাকি আমি আমাকেই তিরষ্কার?
পাই না ভালো থাকার কেন পুরস্কার!
কী পেলাম আমি তোমার কাছ থেকে?
নতুন করেই করলাম কত আবিষ্কার !


========================o


২১শে আগস্ট, ২০২১, ৬ই ভাদ্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ


এক বুদ্ধু প্রাণী
প্রকাশের সময় : December 17, 2021, 1:05 am


আপডেট সময় : December 17, 2021 at 1:05 am



----------------------------------------------------------------------------এই যে আমরা পঞ্চাশ, ষাট, সত্তর, আশি, একশো বছরের এক একটা গোটা জীবন কাটিয়ে একদিন বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছি অথচ যেখানে থেকে গেলাম তার সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানলাম না। পৃথিবী যে একটা গ্রহ এবং এটা কী করে এলো, কী করে টিকে আছে, সেটাই জানা হলো না। অথচ এই পৃথিবীকে দখলে নেওয়ার জন্য মানুষের কী তৎপরতা। এই যে সূর্যালোক, কী এটা? বিন্দুমাত্র না জেনে কেটে গেলো একটা জীবন। অথচ সে যে বেঁচেছিলো কিংবা আছে, তার সব কিছু এই সূর্যালোক থেকেই পাচ্ছে। মানুষইবা কী করে এলো? কোনোদিন প্রশ্ন করে জানলো না। বরং কোনো কোনো চতুর লোক একটা কিছু বললো আর সেটাই বিশ্বাস করে কাটিয়ে দিলো গোটা একটা জীবন। তাও আবার এই ফালতু বিশ্বাস নিয়ে কতো মারামারি, কাটাকাটি, রক্তপাত। মানুষ যে একটা জটিল প্রাণী, সৃজনশীল প্রাণী, তো কী করে তার চেতনা নির্মিত হয়, তা জানতে মানুষ এক মিনিটও ব্যয় করলো না। ওই যে কিছু চতুর লোক বললো এসব অলৌকিক শক্তিধর ঈশ্বর নামের এক শক্তির লীলা, ব্যস, হয়ে গেলো। যে অল্প কয়েকজন মানুষ এসব জানতে মনোনিবেশ করলো, তাদের জীবনকে তারা যাচ্ছেতাই বানাতে হেন কাজ নেই যে করলো না। তাদের হত্যা করলো, পুড়িয়ে মারলো। এই যে চারদিকে এতো শানশওকত, রাশি রাশি পণ্য, বিলাস ব্যাসন, কী এসব? কে তৈরি করলো? কীভাবে সভ্যতা নির্মিত হলো?


এসব যে শ্রমের ফসল, উদ্বৃত্ত শ্রমের বস্তুগত আঁধার, কথাটি তেমন কেউ বুঝলো না। যারা বুঝলো তারা সংখ্যায় এতো অল্প যে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে তারা এক মিনিটে পালিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের বোঝানো হলো ভুলভাবে আর এই ভুল নিয়েই কাটিয়ে দিলো এক বস্তি জীবন। বরং যারা বুঝলো, পৃথিবীর মানুষগুলোকে শিক্ষিত করতে চাইলো, তারাই শত্রু বলে গণ্য হলো। কী আজব ব্যাপার! আজকে ডারউইনের নামে কিছু বললে যে বলবে তাকে নাস্তিক বলা হবে, চেতন অবচেতন নিয়ে ফ্রয়েড নিয়ে কিছু বললে ফ্রয়েড শুধু নয়, যে বলবে তার গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়বে। কার্ল মার্কস, আইনস্টাইন তো চিহ্নিত নাস্তিক।



অর্থাৎ যারা পৃথিবী, মহাশূন্য, প্রকৃতি, মানুষ সম্পর্কে সত্য জানতে চেয়েছে তারাই শত্রু হয়ে গেছে। অথচ যাকে দেখেনি, তাকে বিশ্বাস করে মানুষ পাগল হয়ে গেছে। পরপার বলে এক অলৌকিক জগতে বিশ্বাস করেছে, স্বর্গ নরগ, হুর পরীতে বিশ্বাস করে গোটা জীবন এক মরীচিকার পেছনে কাটিয়ে দিয়েছে। আর এই মানুষই নাকি বুদ্ধিমান প্রাণী। মানুষের মতো বুদ্ধু প্রাণী আর একটাও নেই প্রাণিজগতে।