২০১১ সালের মার্চে আরব বসন্তের
পর থেকেই সিরিয়ায় সঙ্কট শুরু ...
তারপর শুধু যুদ্ধ আর যুদ্ধ,
এ গৃহযুদ্ধে ৫ থেকে ৬ লক্ষেরও
বেশি মানুষ হয়েছে প্রাণহারা!


সিরিয়ার অবরুদ্ধ হোমস শহরে
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা
ইউনিসেফের একজন সাক্ষাতকারে
বাস্তুহারা ছোট্ট এক শিশুকে বলেন,
তুমি কি পেলে খুব খুশি হবে?
সে বললো, বাবাকে দেখতে পেলে...


ইউনিসেফের কর্মকর্তা ভাবলো
তার বাবা হয়তো দেশের
অন্য কোন খানে...
কোথায় তোমার বাবা?
এ প্রশ্নের ঊত্তর দিতে গিয়ে
মেয়েটির মিষ্টি চেহারাটা
মিলিয়ে গেল মুহূতে ...
চোখের কোণে হালকা অশ্রু-বিন্দু
আর ঠোঁঁট-মুখে অদ্ভুত বিষন্নতায়
ভরা এ ছবিটি বললো,
সে মরে গেছে...


এ যুদ্ধ অন্য সব যুদ্ধের মতই,
তেলের খনি ও ক্ষমতা দখলের চেষ্টা!
সিরিয়া ইস্যুতে পৃথিবীর বড় বড়
শক্তিগুলো দুই ভাগে বিভক্ত!
এ শক্তিশালী দেশগুলোর প্রত্যেকেরই
স্বার্থ একে অন্যের বিপরীতে...


রক্ত পিপাসু বাশার আল আসাদ
সহযোগী রাশিয়া ইরান হিজবুল্লাহর
হাতে প্রতিদিন হাজার মানুষের রক্ত ঝড়ছে!
নাকি অন্য পরাশক্তিগুলো
আসাদ-বিরোধীদের অস্ত্র সাহায্য করেই
প্রক্সি-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে?


নিরীহ নারী-পুরুষ শিশুর
রক্তে স্নাত সিরিয়ার জমি,
তার আকাশে-বাতাসে বারুদের গন্ধ!
মজলুমরা করছে ফরিয়াদ,
চাইছে আল্লাহর রহমত...
এখন মানবতা শুধু কাঁদছেই!
কোথায় আজ বিশ্ব-বিবেক আর ভূ-মোড়লরা?
কেনই বা আজ জগতবাসী এখনো নিঃশব্দ?
সিরিয়ার সে ছোট্ট মেয়েটি কি
তার বাবাকে পাবে ফিরে?


======================o
উত্তর আমেরিকা
১৬ ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ