পশুরা কী জানে __
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব,
নাকি মানুষ জানেনা ?
পশুরা তো পাপ করে না,
তবে মানুষ তা কেন করে ?


পশুরা __
করে না দুর্নীতি সন্ত্রাস জমি-বাড়ী দখল ও পাচার,
নেই তাদের মাঝে মিথ্যা ঘুষ পরচর্চা ও অপকার,
করে না,জানেনা ও বুঝেনা তারা লুন্ঠন ও ধর্ষণ,
নেই তাদের মাঝে হিংসা পাপাচার ও অপহরণ।
করে না তারা ছলনা গালাগালি অসম্মান ও অলসতা,
নেই তাদের মাঝে হলুদ-সাংবাদিকতা ও কপটতা।
করে না তারা শোষন ডাকাতি আর ভুয়া রাজনীতি,
নেই তাদের মাঝে স্বৈরশাসন আর ইতিহাস বিকৃতি।
করে না তারা অপচয় অপরাধ নকল ও চোরাকারবার,
নেই তাদের মাঝে বিশাল অট্টালিকা,অগণিত গাড়ী __
কালো-টাকা ও বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বড় পাহাড় l


করে না তারা সব সময় শুধু  কুমতলবের প্রতীক্ষা,
নেই তাদের মাঝে চাদাবাজী অকৃতজ্ঞা ও কুশিক্ষা।
করে না  তারা ভেজাল  বিলসিতামদ্যপান ও গুন্ডামী,
নেই কোন  তাদের জুলুম নির্যাতন অকৃতজ্ঞা ও ভন্ডামী।
তবে মানুষ কেন বারবার এতসব পাপ করে?


জানি পশুরা খায় পরিমিত খাবার,
এটাতে ভুল করে মানুষ বারবার?
পশুরা চলেনা অনিয়ম করে,  
মানুষতো খায় যত পেট ভরে।


যেভাবে খায় মানুষ পশু যত,
খায়না পশুরাও আদম তত  ।


মানুষের কাছে __
মানবতা যেখানে ব্যর্থ,
পশুরা তা কী পূর্ণ করতে পারে ?


অনেক গুন পশু-ধর্মে আছে,
মানুষের ধর্ম __
কী ধোঁকা দেয়ার জন্য ?
নাকি ব্যবসার  জন্য?
না কাটাকাটি ও হত্যার জন্য ?
ধর্ম তো কল্যাণের জন্য ...


মানুষের দয়া-মায়া নেই __
পশু ও মানুষের প্রতি,
পশুদের আছে ভুরি ভুরি।


মানুষের এত সব জানলে পশুরা  __
পালিয়ে যেতো অবাক হয়ে।


আমরা তো মানুষ ,
মানুষ তো পশু না?
নাকি পশুরা মানুষ?
তবে কী পশু হলেই ভাল হত?
তাহলে, চলুন __                                                                          
আমরা সবাই এবার পশু হয়ে যাই?
আর ঐ পশুরা কী  হয়ে যাবে মানুষ ?
পারবে কী পশুরা এধরনের মানুষ হতে ?
নিকৃষ্ট এরকম মানুষ কেন হতে যাবে তারা ?
নাকি আমরা সবাই আবার মানুষের মত মানুষ হব ?
                              ***
মন্ট্রিয়ল , কানাডা
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রীষ্টাব্দ
২৯ শে পৌষ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
২৮ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরী
--------------------------------------


সবুজ পাতায় রয়েছে ক্লোরোফিল। পাতায় গাছের খাবার তৈরি হয় এবং সেগুলো সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ঋতু পাল্টানোর সাথে সাথে  গাছের পাতাগুলো যেন রং পাল্টাতে শুরু করে সবুজ থেকে হলুদ বর্ণ এবং সর্বশেষ লালচে বর্ণের। বিবর্ণ পাতাগুলো এক সময় ঝরতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নতুন পাতার আগমন দেখা যায়।
অন্যদিকে শীতকালে উদ্ভিদে কীটপতঙ্গের আক্রমণ বেড়ে যায় এ আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাতা ঝরে।
বোরনের (B) - অভাব হলে গাছের ডগার পাতার নিচের দিককার রং ক্রমশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, পাতা ভঙ্গুর হয়ে যায়।  ভাঙন শুরু হয় গোড়া থেকে। পাতার রঙ ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে থেকে লাল মর্চের রং ধারণ করে।
সালফার (S) – পাতার রঙ হালকা সবুজ থেকে হলদেটে হয়ে যায়। শিরাগুলি ক্রমশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। পাতায় কোন ছোপ পড়েনা।
ম্যাঙ্গানিজ (Mn) – পাতা সম্পূর্ণ হলদে ভাব ধারণ করে। মূল শিরা এবং উপশিরাগুলি গাড় সবুজ থাকে – পাতার চেহারা খোপ খোপ আকার নেয়।



জিঙ্ক (Zn) – পাতা সরু এবং ছোট হয়ে যায়। উপরের স্তর হালকা হলুদ হয়ে যায়। সারা পাতায় বাদামী লালচে ছোপ পড়ে – শিরায়, পাতার শেষে, পাশে এবং সর্ব স্থানে।
ম্যাগনেশিয়াম(Mg) - পাতায় হলুদ রং দেখা যায়, কোন ছোপ পড়ে না, শিরা সবুজ থাকে, পাতার মাথা ও পাশগুলি বেঁকে কুঁকড়ে যায়। বেশী অভাবে পাতা পঁচে গিয়ে ঝড়ে পড়ে।
ফসফরাস (P) – অভাবে গাছ বেঁটে ও অস্বাভাবিক সবুজ হয়। পাতা খাড়া ও অস্বাভাবিক সরু হয়। বেশী অভাবে পাতার রং বাদামী সবুজ থেকে কালো হয়ে যায়। পাতার পিছনের দিকটা তামাটে হয়ে আসে।
ক্যালসিয়াম (Ca) – গাছ পুরো সবুজ থাকলেও মাথার দিকের পাতা ফ্যাকাসে ও আংটার আকার নেয়। পাতার মাথা ও পাশগুলো শুকাতে থাকে ও ক্রমে পাতাগুলি মরে যায়।



আয়রন(Fe) – অভাবে পাতার ধারগুলি হলুদ ও মাঝখানটি সাদাটে হয়ে যায়। কোন ছোপ পড়ে না। শিরাগুলি স্বাভাবিক সবুজ থাকে।
কপার(Cu) – পাতার নিচের দিক ঝুকে পড়ে, শিরা হলুদ হয়ে যায় ও সহজেই ঝড়ে পড়ে।
মলিবডেনাম (Mo) – পাতার রং সোনালী হলুদ থেকে কমলা হয়ে যায়। পাতার উপর বাদামী ছোপ পড়ে, পাতার নিচের দিকে চ্যাটচ্যাটে ভাব দেখা যায়।
পটাশিয়াম (K) – পাতা হলদে হয়ে যায়, পাতার বোঁটার দিক হলদে থাকে, মাথা ও পাশগুলি বাদামী লালচে রং ধারন করে। পাতার মাথার দিক জংধরার মত দেখায়। পাতা কুঁকড়ে বেকে যায়।
নাইট্রোজেন (N) - অভাবে গাছ বেঁটে ও অস্বাভাবিক হালকা সবুজ হয়ে যায়। হলকা সবুজ থেকে হলুদ হয়। বিশেষ অভাবে ঝলসানো চেহারা নেয়।