লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রাত,
ধরাতে ইসলামের এক বিশাল  হাত।
শেষ-নবীর নবুয়ত প্রাপ্তি ৪০এর কালে,
মিরাজের রাত যে আরবী ৬২০ সালে।


রজব ২৬, সপ্তম আকাশের রাত্রিভ্রমন,
হজরত জিব্রাইল (আ.)এর সঙ্গে গমন।
কাবা শরীফ ও বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে
বোরাক-যানে  ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ,
আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার গ্রহন।


সর্ব-কাল-শ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ(সা.) ছাড়া ,
সৌভাগ্য লাভে পারেননি অন্য নবী যারা।
মিরাজের অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি আরবি ভাষায়,
পুরো গমন ছিল সশরীরে জাগ্রত অবস্থায়।


ইসলামে অবিস্মরণীয় ঘটনা শবে মিরাজ,
এতেই আসে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
পাবো পবিত্র কোরআনের নাজমে সূরায়,
নামাজে মন মুমিনদের অত্যাবশ্যকতায়।


মহান আল্লাহ রাতে নিজ সান্নিধ্যে ডেকে,
প্রিয় বান্দা রাষ্ট্র-রূপরেখা-নানাবিধ শেখে।
৫০ ওয়াক্ত নামাজের বদলে শুধু ৫ বার,
‘আত্তাহিয়্যাতু’ পড়াও মেরাজের উপহার।
সুসংবাদ তাদের,রহমত, ক্ষমা ও অনুগ্রহ,
উম্মতে মুহাম্মদির শিরকে ছিলনা আগ্রহ।
মিরাজের রাতের ১৪ কানুন প্রকৃত দীক্ষা,
পাওয়া যাবে সুরা বনি ইসরাইলে শিক্ষা।


===================o
উত্তর আমেরিকা,
২৬ রজব ১৪৪২ হিজরী
---------------------
২৬ ফাল্গুন ১৪২৭
-----------------
***


আল্লাহর রাসুল (সা.) মিরাজ থেকে ফিরে আসার পর সুরা বনি ইসরাইলের আয়াত : ২২-৩৭ , ১৪ টি ধারা জনগণের সামনে পেশ করেন :


১. আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করবে না, তাহলে তুমি নিন্দিত ও অসহায় হয়ে পড়বে। আর তোমরা কেবল আল্লাহরই ইবাদত করবে
২. বাবা-মার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তাদের একজন বা উভয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় যদি তোমাদের সামনে উপনীত হয় তাহলে তাদের সাথে উহ্ শব্দটি পর্যন্ত করবে না। তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিবে না; বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলবে। আর তাদের সামনে বিনয়ী থাকবে আর দোয়া করতে থাকবে- ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের তেমনিভাবে লালন-পালন করুন, যেমনি তারা শৈশবে আমাদের লালন-পালন করেছেন’
৩. তোমাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করবে, তাহলে আল্লাহ তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের মনের খবর জানেন
৪. আত্মীয়স্বজনকে তাদের অধিকার দিবে আর মিসকীন ও মুসাফিরদের হক আদায় করবে
৫. অপব্যয় করবে না, নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের বন্ধু, আর শয়তান স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ
৬. হকদারদের হক আদায়ে তুমি যদি অপারগ বা অসমর্থ হও তাহলেও তাদের সাথে অত্যন্ত নম্রভাবে কথা বলবে
৭. ব্যয়ের ক্ষেত্রে বেহিসাবী হবে না, আবার কৃপণতাও প্রদর্শন করবে না। আল্লাহ যাকে চান রিজিক বাড়িয়ে দেন, যাকে চান কমিয়ে দেন
৮. দারিদ্র্যতার ভয়ে সন্তান হত্যা করবে না। নিশ্চয়ই এটি মহাপাপ
৯. জিনা-ব্যভিচারের কাছেও যাবেনা না। নিশ্চয়ই এটি নিকৃষ্ট ও গর্হিত কাজ
১০. কোনো জীবনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে না। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে তার উত্তরাধিকারীকে আমি এই অধিকার দিয়েছি  তারা চাইলে রক্তের বিনিময় চাইতেও পারে), তবে প্রতিশোধের ব্যাপারে সে যেন বাড়াবাড়ি না করে
১১. এতিমের সম্পদের ধারে কাছেও যাবে না। সম্পদের ব্যাপারে তার বয়োপ্রাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আর প্রতিশ্রতি সম্পর্কে সচেতন থাকবে। নিশ্চয়ই প্রতিশ্রতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে
১২. মাপ দেয়ার সময় পূর্ণ ও সঠিক মাপ দিবে এবং ওজন করবে সঠিক দাঁড়ি পাল্লায়। এটিই উত্তম পন্থা এবং এর পরিণাম শুভ।
১৩. যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই সেগুলোর পেছনে লেগে থাকবে না। নিশ্চয়ই চোখ, কান, অন্তর সব কিছুকেই জিজ্ঞাসা করা হবে
১৪. জমিনে দম্ভ নিয়ে চলবে না। তুমিতো কখনও তাতে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং  তোমরা উচ্চ্তায় কখনও পাহাড়ের সমানও হতে পারবে না