হঠাৎ দুঃস্বপ্নের মধ্য ঘুম ভেঙে গেল,
অস্থিরতায় হাঁসফাঁস করছি আমি।
প্রচন্ড হৃদস্পন্দনে কম্পিত মোর বুক,
ভীতসন্ত্রস্ত কন্ঠে মোর মৃদু শব্দ।


আমার এই অবস্থা দেখা শংকিত মোর জননী,
অস্থিরতা বিচলিত তার ভয়ার্ত  আখিঁ দুটি।
পাশে এসে দাড়িয়েছে মোর পিতাজী,
জিজ্ঞাসু প্রশ্নে কি হয়েছে সোনামণি।


নিজ পিতার অবয়বে আমি কেন কুঁকড়ে যায়,
আমার দুঃস্বপ্নেতেও এমন ব্যক্তি হাত বাড়ায়।
কিছুই বোঝাতে পারি না আমি সেই অল্প বয়সে ,
আমি তখন পড়ি বোধহয় ফোর কিংবা ফাইভে।


প্রায় সেই দুঃস্বপ্ন দেয় আমাকে হানা,
স্কুলেতে কেন জানি মন টিকতে চায়না।
স্কুলের ঐ শিক্ষককে লাগে আমার হায়না,
যে কিনা দুঃস্বপ্নে দেয় আমাকে  দেখা।


আমার এই অবস্থা মোর মাতা দেখে,
আমারে জিজ্ঞাসে কি হয়েছে মারে।
আমার মুখে কেন জানি কথা না সড়ে,
কোন কিছুই বলিনি আমি তখন মাকে।


নিরবে নিবৃত্তে দহনে অনল জ্বলে,
ক্ষনে ক্ষনে লোমশ হাত চোখে ভেসে উঠে।
ক্ষুদ্র হৃদয় ক্ষুন্ন হয়ে অন্তরে ঝড় তোলে,
একটি লোমশ হাত ভেসে উঠে মনের ক্যানভাসে।


তিক্ত মনে তিষ্ট হয়ে শংকিত আমি স্কুলে,
শেষ পর্যন্ত রুষ্ট হয়ে স্কুল ছাড়ি সেই সময়ে।
তিক্ততার সেই কষ্ট গুলোএলুকিয়ে ছিলো গহিন মনে,
আজ আবার পড়ল মনে লোমশ হাতের চিত্র দেখে।


আমার মেয়ে আজ আমার বয়সে,
কাঁদছে একাকী ঘরের কোনে।
আমার মনে সন্দেহ জাগে,
কি হয়েছে দেখি গোপনে।


পড়াশোনায় হঠাৎ অন্যমনস্ক,
স্কুলে যেতে আজ কেন সে ভীত।
বুঝি আমি মায়ের মনে
নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে তার গোপনে।


মেয়ের এই অবস্থায় দেখি ড্রয়িং খাতাতে,
একটি লোমশ হাত সে এঁকে রেখেছে।
জিজ্ঞাসি তারে আমি খুব আদরে,
কিছু কি হয়েছে মা তোর সাথে গোপনে।


আমার মেয়েতো নয় আর আমি,
আমাকে সে কিছুই লুকায়নি।
অকপটে মেয়ে আমার করল স্বীকার,
নপুংসক মাষ্টারের সে এক শিকার।


ঘৃনায় দুঃখে বিপর্যস্ত আমি,
ক্ষোভে কষ্টে দেখি মেয়ের চোখে পানি।
আর কতকাল এভাবেই হবে শিশুরা বলী,
মানবতা দেখায় সমাজে আজ বৃদ্ধাঙ্গুলি।


এভাবেই কত শিশু হচ্ছে কদার্য্য শিকার,
এই সমাজে নেই কোন এর প্রতিকার।
যে করেই হোক হতে হবে এর বিচার,
আর যেন কোন শিশু না হয় এর নিষ্ঠুর শিকার।


একসময় আমি যা পারিনি সমাজ আস্তরণে,
সেই কাজটি করেছে মোর মেয়ে অতি সহজে।
এভাবেই নিতে হবে শিশুদের খেয়াল,
ভেঙে দিতে হবে তাদের সামনে অন্ধকারের দেয়াল
23/9/13