" আদুরী " নামটি একটি কিশোরীর,
চোখে ভেসে উঠে ঝলসানো শরীর।
নামটির সাথে পরিচিত সবাই,
যে নামে বিবর্ণ মলিন কিশোরী কে পাই।


একদা উচ্ছল উড়ন্ত গ্রাম্য কিশোরী,
আজ সমাজ নির্যাতনে নিষ্পেষিত।
যে আদুরী ঘুরে বেড়াতো ফুলে ফুলে,
সেই আদুরী আজ শুয়ে আছে বিছানাতে।


যে আদুরীর চোখে ছিল রঙিন ছোঁয়া  স্বপ্ন,
সেই আদুরীর চোখে আজ ভয়ের নগ্ন চিত্র।
যে আদুরী এসেছিল এই শহরে দুমুঠো অন্নের তরে,
সেই আদুরীর আজ শরীরে রক্ত ঝরে।


যে আদুরী পেতে পারত একটু ভালবাসার ছোঁয়া,
সেই আদুরী বয়ে বেড়ায় গরম খুন্তির ছ্যাঁকা।
যে আদুরীর প্রত্যাশা একটু শান্তির ঘুম,
সেই আদুরীর মিলে রোজ পান্তা ভাত আর নুন।


যে আদুরী হতে পারতো আমার আপনার সন্তান,
সেই আদুরীকে মিলে আজ ডাষ্টবিনে সন্ধান।
যে আদুরী করে নিজ হাতে রন্ধন মোদের অন্ন,
সেই আদুরীর গায়ে রয়েছে বসন একখানা ছিন্ন।


এই আদুরীর কি নেই অধিকার একটু ভালো থাকার,
আমরা কি পারি না দিতে আশা তাকে বাঁচবার।
এই আদুরীরা সইবে যাতনা বল আর কতকাল,
আমরা কেন করি না তাদের ভালো একটু দেখভাল।


আদুরীরা রইযে আড়ালে এই সমাজের খামখেয়ালে,
তারা শুধুই জড়িয়ে পরে এই সমাজের বেড়াজালে।
পারে না তারা ছিন্ন করতে  এই সমাজের জালকে,
অনন্তকাল তারা পরে থাকে আটকা এই চক্র জালে।


এই আদুরী নয় শেষ আদুরী,
রয়েছে হাজার ছড়িয়ে কিশোরী।
আমরা কখনো দিতে পারিনি,
সেই আদুরীর যোগ্য ধরণী


28/9/13