একজনার চোখে বন্ধক ছিল আমার নিশর্ত হৃদয়
ভালোবাসা যদিও কোনো অন্যথা ছিলনা,কেন যেন,
আটকা পরে গেলাম,হৃদয় আমার ত্রিস্তর পদক ছুঁয়ে-
মস্তিষ্কে করেছে চাষ ওর একান্তের প্রস্তাব,যে বলেছে ভুল
সজ্ঞানে মুছেছি দশের লিস্ট থেকে,কত পথ পেরিয়েছি
অনাগত দুর্যোগ নির্ভয়ে,কত আল পেরিয়েছি সহজাত ক্ষেত
কত মাস,বছরের বেদুইন প্রশ্রয় ঘেষাঘেসি সাগর ছুঁয়েছি
সেই হাত রেখে গেছে সিক্ত অশ্রুময় ট্যাটুর আদলে লেখা
সেদিনের নিষিক্ত চোখ,ফুটেছিল সদ্য শতদল সাক্ষ্য রেখে
একাত্তরের হেঁটেছি পথ পরস্পর কত উত্তাল পরিস্থিতি,
আনমনে গানে গানে ঝড়না বেয়েছি কত উদাস প্রহর
হাতে ওর গানের যাদুরা কবিতার ভাষা হয়ে কথা হত
শুধু কথা,কথা,কথা একাকার সময়ের বেহিসাব ভুল
কথা বলে ভাষা,লেখা কবিতারা বহুজন হয়ে মোছায়-
দুরাশা,জাগায় চেতনা,যোগায় ভরসা,কবিতারা প্রেম-
হয়ে নিশ্চুপে আসে কাছে খুব বলে দেয় হৃদয় ভাষা,
আমার সে চোখ উঠে এসেছিল স্বাতন্ত্র্য হয়ে ব্যক্তিস্বত্তায়
কোন দুরন্ত লেখনী থেকে,নিস্তার ভেবে সঁপেছি স্বত্তা
আজওতো অন্যায় ভাবি না বহু কথা রেখেছি গুছিয়ে
তবে করেছি আড়াল সেই ট্যাটু হাত পিছ মুড়ে শুধু-
বলেছে,কবিতা তোমার এ চোখে বন্ধক,
সোনার পাথর বাটি....কবিতা হৃদয়।