আর লাগবে না রং নিয়ে যাও সমস্ত ফাগুন
যে ছেলেটি মারা গেল আমি জানি ওকে
এক গভীর বধ্যকূপে রেখে ছিলে তাকে
অনেক জটলা দেখেছি তোমরা রেখেছ-
কিছু ক্যাকটাস্ কাঁকড়া বিছের মৃত্যুদ্যুত
গোপন শলায় ও বাজেয়াপ্ত হল,নেতার আদেশ
পদশব্দগুলো ঢেকে দাও বিষ পরিত্রাণে
কোন্ বধ্যভূমে আছি?ওদের প্রাণের চারপাশ
ক্রেতারা হেঁকেছে দরদাম কিসের দরদী??
কতগুলো সং নিয়ে আবারো এসেছো??
আমি জানি কতভাবে মুছে যায় স্বাধিকার
মুছে যায় নিত্য আর্তনাদ বিছের দংশনে
যে মেয়েটি চিল-শকুনের থাবার আঁচড়-
কি উপমা রেখেছো?আমি জানি পোষ্যরা-
তোমাদের সন্তান স্নেহে ,বেঁচে যায়-
কিসের প্রহ্লাদে এত ফাগুন বাহার??
আরো কিছু ভূপাল বিস্ফোরণ,আরো কিছু-
আরো কিছু মুদ্রা ছোড়াছুড়ি,কিছু সং
ছেড়ে দিয়ে যাও,আরো কিছু নখরের ঘ্রাণ,
আমরা তো বুঝেছি চালাকিটা,বাকীরাও কাল্
আমারও বুক জুড়ে ভয় আস্ফালন-
কান্নারা সমুদ্র হয়ে আছে জানা নেই,
প্রখর সূর্যটাকে কে দিয়েছে আঁধার কালিমা
ছক্ কষে বলে গেছে জ্যোতিষের বাণী
আরো শত রক্ত পিয়াসী স্বদেশ,স্বভূম
প্রাণ চায় তাজা আরো কিছু প্রাণ
সেই রক্তে দেশ হোলী  খেলা চায়।