দীর্ঘকালের অসমাপ্ত আদিম প্রগতি ঘুম ভাঙা ভোরে অসহিষ্ণু সরে দাঁড়াল ক্ষয়ে যাওয়া নাগরিক। আয়নায় না দেখা অস্তিত্ব দাঁতে,নখে শান দিল ফের- দীর্ঘ রাজপথ শেষে, অবশেষে কাংখিত লক্ষ্যে মরণজয়ী রক্ষাকবজে মাথা ঠুকে উঠে দাঁড়াল, দেখাতে হবে হৃদকন্দ চিরে নপুংস নয়। উচ্চারিত হল মহাকালের আদিম মন্ত্র, আকাশ,বাতাস কাঁপিয়ে কোন অগভী নারীর উপরানো হৃত্পিন্ড এযাবত্ ঋতুঘুমে আচ্ছন্ন বীর্যবান,বীরভোগ্য আদিম প্রগতির অন্তিম পর্যায়ের প্রস্তুতি, নিনাদ মুনির বরপ্রাপ্ত অদিতির বংশধর আলোড়ণ চতুর্দিক, পুরনারীর মন্ত্রোচ্চারণ একে একে উন্নত মস্তকে যাচাই করল নিজেকে অসহিষ্ণু , অসহিষ্ণু আলোড়ণ। চতুর্দিক ঘরে ঘরে শঙ্খদ্ধনী,মঙ্গল কামনা,কপালে রক্ততিলক, ব্রম্মতেজে বলীয়ান সুরভিত রমনীর পতি তিনবার চুম্বন করল ধরিত্রীকে,দুইবার প্রণাম করল নিজ কুলগুরুকে, এগিয়ে চলেছে কোন্ তীর্থ জাহ্নবীর দিকে, কন্ঠস্বর তীক্ষ্ণ-  হল,চোয়াল ,বজ্রমুষ্ঠি ,প্রতিজ্ঞাবদ্ধ গ্রীবার সমুখে শপথের সম্মাণ, প্রয়োজনে আপন বীর্য্যে মহীয়ান তেজে ধরিত্রী হল মুহ্যমান, ধূলি হতে নিল পাপ,ফেলে রাখা যত অনুতাপ ,বিভেদে কোন পার্থক্য হল না কারো, একসাথে হাতে রেখে হাত শপথের তীব্র উচ্চারণ।
ওদের চলার পথে অশ্বতেজে ধূলিময় চতুর্দিক জন্ম-জন্মান্তর বীর্যের রাখিতে প্রমাণ মাভৈ মন্ত্র প্রতিধ্বনীত চতুর্দিক্, অতঃপর উড়াইল জয়দ্ধজা ভিন্ন অজুহাতে। উচ্চারিত পরুষকার মন্ত্র দিকে দিকে ।