বাইরে থেকে দেখে মনে হয়না-
এটি একটি লাশকাটা ঘর।
সামনে আছে বেশ পুরাতন একটি কৃষ্ণচূড়া,
এর তলেই প্রতিদিন বসে ডোমদের আসর।
প্রতিদিন দল বেঁধে তারা প্রহর গুনে।
সবাই যেন আনন্দে ভাসে,
যখন লাশ আসার খবর শুনে।
লাশকাটা, কফিন সাজানো -
এসব নিয়ে চলে দর কষাকষি।
যত বেশি লাশ,ততো বেশি খুশি!
এখানে যে আসেনি কখনো,
সে বুঝবে না-
মৃত্যুর পর মানুষ কত অসহায়!
তাকে নিয়ে ব্যবসা হয় এখনো।
কত অকাল মৃত্যু! কত অপমৃত্যু!
নেশা,খুন, ধর্ষণ  কিংবা ফাঁসি।
নেপথ্যের কুশিলবদের তদবির!
নানা রকম ফন্দি-ফিকির!
চোখে মুখে প্রতিশ্রুতির ছাপ!
যে আশায় ময়নাতদন্ত,
তা যেন নেহায়েত এক অভিশাপ।
অবশেষে আবারও প্রমাণিত হয়,
ওদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
যে কারণে তাদের মৃত্যু,
তারা করেছিলো স্বর্গীয় পাপ!
লাশের সাথে সাথে হয়ে যায় দাফন,
অনেক অজানা সত্যের।
বুঝে না তো ফরিয়াদি কখনো,
ডাক্তার নাকি ডোম দাবী রাখে এই কৃতিত্বের!