নাম আমার রুপালি সবে রুপা বলিয়া ডাকে,
পারিবারিক কর্ম করি লেখা পড়ার ফাঁকে।
ছড়া বলি,গল্প পড়ি,শিখি অংকের সুত্র,
বাবা মায়ের আদোরিনি বেটি একমাত্র।


হটাৎ এক দুপুর-শনির ভরপুর।


পরনে লঙ্গি গামছা সঙ্গি বাবা ছিল বসিয়া,
ঘরের দার করিছে তৈয়ার হাতে বাঁশ চাছিয়া।
এমন সময় আসিল ঘটক,খনখনা খন কাঁশিয়া।


"আছে একখান ধনীর ছেলে!" বলিল ঘটক হাসিয়া।


মা বলিল;"দাঁড়িয়ে কেন? বলুন সবই বসিয়া।"
অনেক কথাই বলিল ঘটক-সত্য নাকি সাজাইয়া!
বাবা বলিল;"ঠিক আছে ইহা দেখিব আমি ভাবিয়া।"
মুখে পান,হাতে ছাতা-ঘটক যায় চলিয়া।


মা জননী পাশে এসে বলিল সবই খুলিয়া।


চোখে মোর জল করে টলমল,
এর মাঝে বলি লেখা পড়ার ছল;
"মাগো আমার বয়স বারো-তাই বিয়ের কথা ছাড়ো,
লেখা-পড়া করবো আরো,ডাক্তার হয়ে হবো বড়।"


কয়েকদিন পর সাথে আসিলো বর,
দেখিয়া মোর হৃদয় করিলো ধড়ফড়!
সুখেইতো ছিলাম নিয়ে মা-বাবার আদর।
কেনই বা তারা চাই করিতে পর?


লেখা পড়া ছাড়িয়া-করি অন্যের সংসার!
এভাবেই কেটে যায় একটি বৎসর।
যৌতুকের টাকা বাকি পনেরো হাজার,
এই নিয়ে মোরে করে মারধর।


আমি নাকি পারিনা কাজ,
কথায় কথায় দেখায় মেজাজ,
খেতে না দেয় সকাল সাঝ।


কোলে মাস কয়েকের শিশু।
আমি খাবার না খেলেও তাকে দিতে হয় কিছু।
আমার সুখে দিয়েছে বিয়ে,
তবুও আছি দুঃখ নিয়ে!


এই কি পিতা-মাতা?
সময়ের আগে দিয়েছে বিয়ে,
তাইতো এমন ব্যাথা।


যেজন পিতা মাতা-শুনিয়াছো আমার কথা,
সময়ের আগে চিন্তাও করিওনা-
মেয়ের বিয়ের কথা-মেয়ের বিয়ের কথা!