তোমরা যারা-
বাহুবলে সবকিছু নিজের করে নিতে চাও
নিরবধি মুক্তির তেজস্বী আহ্বানকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে চাও
অনবরত কল্পিত বয়ানে
কালো ছায়ার ছাপ মারো স্বচ্ছতার বুকে ও পিঠে
ত্রাসের ডঙ্কা দিয়ে স্তব্ধ করতে চাও প্রতিবাদী কণ্ঠ …


শুনে রাখো-
তোমরা বন্দুকের নল উঁচু করো
আমরা বুক পেতে দেই
তোমরা দেয়ালে দেয়ালে আঁধারের পোস্টার লাগাও
আমরা পায়রা হয়ে শুভ্রতার রঙ লেপ্টে দেই
তোমরা বাতাসে ঝড় তোলো বজ্র নিনাদে
আমরা সমুদ্রের শান্ত শীতল পানি হয়ে যাই
তোমরা শৃঙ্খলের বেড়ি পরাও বারংবার
অবিনাশী ডাকে আমাদের অন্তরগুলো ক্রমাগত আন্দোলিত হয় …


জেনে রাখো-
অনন্ত কালের যাত্রায় বিশ্রামের রাত্রির মতো ক্লান্তি নেই
অনাগত ভবিষ্যতের প্রতি
সূর্যোদয়ের অপলক দৃষ্টিতেও কোন অবকাশ নেই
আবহমানকালের অপেক্ষাতেও খিলখিল হাসিমুখে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকি
আমাদের প্রতীক্ষার ডালিকে বিহ্বলতা কখনো গ্রাস করে না।


ফিরোজ, দিলকুশা, ১৫/০২/২০২২