বসন্তের পানে জায়গা বদলের
অসমতল দৃশ্যগুলো কখনো বিসদৃশ মনে হয়নি
শুঁয়োপোকা শরীর ছেড়ে
প্রজাপতির পাখনা মেলা বিভোর রূপ
তাও চোখে ধরেনি
শীর্ণকায় কাঠামোর পাশাপাশি
মেদবহুল দেহগুলোর ঘোরাফেরা অমলিন মনে হয়
অদৃশ্যে রয়ে গেল
নিঃসম্বল দিনযাপনের কাব্য
কুমীরের পেট হতে নিয়নবাতির ঝলকানি
উড়াল সেতুর বেখাপ্পা ভেল্কিও সমক্ষে আসে না
দূষিত আশীর্বাদে আত্মার অতৃপ্তিতে
ওদের অন্তরালে বিচরণ
তবুও উন্মোচিত হলো না অসংগত আস্তাবল
অসংখ্য বেমানান সুখস্বপ্নের ঘোরে
নীতিহীন সমর্পনের দৈবাদেশ প্রাপ্তি
বীক্ষণ সীমানা ছেড়ে তাও এড়িয়ে যায়
একবারও চোখ পড়লো না
ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হওয়া দুর্বৃত্ত সময়ের প্রতি
কারণ, চোখের মাঝে দৃষ্টি কেবলই অনুপস্থিত ।


ফিরোজ, দিলকুশা, ১৫/১১/২০১৭