সেদিন রাস্তাতে তাকালেই
চোখে ভাসতো উদ্দীপিত মিছিলের ঢেউ
আপন সত্তার ঘোষণা দিত টগবগে তারুণ্য
বিক্ষুব্ধ তরঙ্গে কাঁপন তুলতো ইথার হতে ইথারে
অবাঞ্ছিত অসংগতিতে ঝাঁঝালো প্রতিবাদ
আগুন ঝরাতো ফাগুন


কেন যেন আজ অলিগলি রাজপথের কণ্ঠগুলোতে
অস্তমিত সূর্যের ফিকে আলো ক্লান্তি
নীরব নিথর সমূদ্রের ম্রিয়মাণ ঢেউ
বিষাক্ত সুঁই বিঁধে হাতগুলো শক্তিহীন নিস্তেজ
ছিটেফোঁটা কম্পিত বিক্ষোভ - মনে হয় সব মেকি
কালের কলমের কালিও বিবর্ণ
জং ধরা চেতনায় প্রতিটি হৃৎপিণ্ডে নাভিশ্বাস ওঠে
তাই যেন দুস্থিতি শিকড় গেড়েছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
চাঁপাফুল, গন্ধরাজ, কামিনী বীথি হতে
ভাগাড়ের দুর্গন্ধ ছড়ায়
মনে আর কৃষ্ণচূড়া, ফাগুনের রঙ ধরে না


সবে যেন সাগরের অথৈ জলে ডুব দিয়েছে
কর্ণে তালাবন্ধ নিশ্চেতন দূরত্বে খুঁজে ফেরে নিরাপদ ভুঁই
এ বেলা শুধু চাতক চোখে তাকিয়েই থাকে
সত্তায় মিশে থাকা বলিষ্ঠ বজ্রকন্ঠের প্রতি ... !


ফিরোজ, দিলকুশা, ০৫/০৩/২০২০