অন্তঃপুর মনন মগজের স্পর্শকণা
শব্দবদ্ধ কাঠামোতে শুধু আঁচড় কেটে যায়
আলোক সংস্পর্শে বেজে ওঠে উত্তুঙ্গ বিদ্রোহের সুর
সকল ক্লেদ, মালিন্য, অসংগতি, কদর্যতার গায়ে
ছুড়ে মারে বিস্ফোরক বারুদ, শূলকাঁটা, বিষকণা
কারণ সেতো প্রেম-পূজারী, শুভ্রতা-সুন্দরের কাঙ্গাল
সেতো আপসহীন অমিততেজী মহাশব্দতরঙ্গ
ওকে কি কবিতা বলে ...
হ্যাঁ, কবিতাইতো ।


জ্বলে ওঠে দাউ দাউ আগুন
অসহ্য ক্রুদ্ধতার তীব্র অগ্নিদাহ অসুরের চোখে
অন্ধকারের কীট, প্রেতাত্মা যতো আছে
হামলে পড়ে গর্দানে, যেন গলা টিপে
কবিতাকে অদৃশ্যে মিলিয়ে দিবে ।


ওর জান বড্ড শক্ত, বার বার ফিরে পায় প্রাণ
মুক্ত বিহঙ্গের মতো ছুটে চলে
এক মনন হতে শত শত, হাজার হাজার, অগণিত মননে
কারণ কবিতা অমরত্ব পায়, মৃত্যু হয় না কখনই ।


ফিরোজ, দিলকুশা, ০৬/১২/২০১৬