প্রাণের মাঝে রোমান্টিক বিষমকামিতাকে
ভারী নেতিবাচক বলো ?
থামো, থামো হে … !
প্রজননের অভিযোজনিক প্রবণতা বন্ধ হলে
প্রাণের ধারা হারিয়ে যাবে
বিলুপ্ত হবে পিতামাতার ভালোবাসার নিরাপত্তা-চাদর ।


ব্যক্তির সম্পদ অর্জনে, সম্পদ বর্ধনে
যদি বলো অসাম্যের নরকে পোড়ে মানবতা,
একটুখানি ভেবে দেখো হে … !
‘সম্পদ আমার’-এ উদ্দীপক প্রবণতা হারালে
সভ্যতার গতি থমকে যাবে
রিযিকের দ্বারে ঝুলবে তালা
অভিনব রূপসম্ভার হতে চোখগুলো বঞ্চিত হবে ।


‘আমিত্ব’, চেতনার নির্ঘণ্ট-অভিধান
যদি জীবাণু বলে ডাকো তাকে
যদি বলো অহঙ্কারের নিষ্ঠুর আত্মকেন্দ্রিকতা
সবকিছু আমার বলে পেতে চায়
ধীরে বন্ধু, একটু গভীরে দেখো … !
আমির অসাবলিল প্রকাশে ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য হারায়
সৃষ্টিশীল ব্যাকরণের ছবি মুছে গিয়ে সাদা হয়
স্বপ্ন সৃষ্টির কেন্দ্রে মিছিল করে ক্ষয়রোগ ।


হিতকর লক্ষ্য নিয়ে প্রাণের প্রবণতার সৃষ্টি
সকল সক্ষমতাও স্রষ্টার দান
নির্ধারিত মাত্রায় সব প্রবণতাই কল্যাণ আনে
অসংযমে যতো গোলমাল
পরিমিত মাত্রাজ্ঞানের প্রয়োগে সুন্দর সৃষ্টিজগত ।


ফিরোজ, দিলকুশা, ১৪/০৩/২০১৮