মুক্তির সুউচ্চ মিনারে পৌঁছে যাব বলে
হাজার হাজার শতাব্দী - তারও আগ থেকে
ছুটেছি, হেঁটেছি, হামাগুড়ি দিয়েছি
সে পথে কখনই-
ফুলের পাপড়ি বিছানো ছিল না
অগণিত বালিয়াড়ি, কখনোবা পাথুরে পিচ্ছিল পথ
জংলি কাঁটায় কাঁটায় ক্ষত বিক্ষত পদযুগল
শ্বাস প্রশ্বাসের তীব্র উঠা নামায় তৃষাতুর পথিকের ক্লান্তি
লক্ষ্যের কাছাকাছি উচ্ছলিত উল্লাস
স্খলনে আবার নেতিয়ে পড়া বৃক্ষের পত্র-পল্লব
জীবন সঞ্চারে ফিরে পাওয়া কিশলয়ের সতেজতা
ঊর্ধ্বে ওঠে সংগ্রামী দু-হাত, আবার ছুটতে থাকি
ছুঁয়ে দেবো মুক্ত বিহঙ্গের উড়ন্ত দুটি ডানা
ভাঙ্গা দুটি পা নিয়ে মুক্তির মিনারের কাছে গেলাম
সে-কি! কেন্দ্রীয় আসন পিঁড়িতে-
এক নির্মম মায়াবিনী, চারপাশে ক্রীতদাসেরা …


বৃক্ষের পত্র-পল্লব ক্রমাগত ঝরে যাক
ওদের কেউ আসবে না
উদগ্র অগ্নিকুণ্ডে তপ্ত-ঝলসানো আহাজারি
ওদের কেউ আসে না
আষাঢ়ের বাদলে অভুক্ত বানভাসির কান্না, ভেসে যাওয়া লাশ
তবুও ওদের কেউ আসে না
আঙ্গিনার বাগিচায় বিষের জ্বলনে ছটফট
মনে হয় ওদের কেউ আসবেও না …!


ফিরোজ, মগবাজার, ১৮/০৬/২০২২