আরদালি, পাইক-পেয়াদায় ভরপুর-
কর্তৃত্বের দপ্তরে হাজার-লক্ষ-কোটি, অগণিত গর্ত ও বন্ধনী
সেখানে দাসত্বের শৃঙ্খল থরেবিথরে সাজানো
আর বসত গেড়ে বসে আছে গলিত পুঁজে ভর্তি দুর্গেন্ধের মেওয়া
অব্যাহত নিস্পত্তিহীনতায় আরো পাকাপোক্ত হয় শিকল
আমার সত্তাকে প্রতিনিয়ত পতিত হতে হয়
এরূপ কোন বন্ধনী বা গর্তে
আর ক্রমাগত বন্দী হই ক্রীতদাসের নিগড়ে
গায়েবী হাতকড়া, গায়েবী শক্ত বেড়ি, গায়েবী দাসত্বের জিঞ্জির
যেন এক মৃত্যুর জাহাজ হয়ে গেলো সভ্যতার অগ্রগতির প্রতীক
প্রভু হয়ে ওঠা ইউরোপীয় অভিজাতের-
দাস ভর্তি ‘সাও জোয়াও বাতিস্তা’ …


হায়, মৃত্যুই কী কেবল মজলুমের মুক্তির উপায়!
কেনো যেন চোখে ভেসে ওঠে এক দীপ্তিময় স্বপ্ন
বেচে থাকার আশায়-
শক্তির উৎস হয়ে টিমটিম জ্বলতে থাকে প্রদীপ
কারণ, প্রতিটি অন্তরের গহিনে স্রষ্টার রোপিত বীজের নাম ‘মুক্তি’
‘আমি’ এক মুক্ত সত্তা, মুক্ত বিহঙ্গ
কেবল স্রষ্টার প্রতি আনত-মস্তক …


তোমরা যারা মুক্তির বীজে অস্বস্তি বোধ করো
সভ্যতার উৎকর্ষের বাহারি বাক্স ঝুলিয়ে-
তোমরা যারা ক্রীতদাস বানাতে চাও
জেনে রাখো-
মুক্তিকামী মানুষেরা জেগে ওঠে
আর গর্জে ওঠে বারংবার …


ফিরোজ, মগবাজার, ০২/১১/২০২১