নিজ ঘরে পরবাসী
যা ছিল সহায়-সম্বল আগুনে জ্বলে নিঃশেষ
প্রাণ জ্বলে স্বজন হারানো হুতাশন যন্ত্রণায়
ধর্ষিতার কান্না ভেসে আসে বাতাসে
চোখের সম্মুখে হোমাগ্নি ঝলসানো মৃত দেহগুলো
রক্তে ভেজা একটা ফতুয়া
বুলেটে ঝাঁঝরা বেওয়ারিশের পচা গন্ধ
ঝোপের পাশে কতগুলো কাটা মুণ্ডু
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শিশু, পিছনে দুহাত বাঁধা
কারো-বা উল্টে আছে ভাঙ্গা হাত, ভাঙ্গা পা
আধপাকা দেয়ালে
ফিনকি দেয়া রক্তের ছোপ ছোপ দাগ
কয়েকদিন আগের গ্রাম যেন পোড়া ছাইয়ের স্তূপ
দানবের হামলে পড়া হুঙ্কার
তোমরা মানুষ নও
তোমাদের নেই কোন অধিকার
আহা ! কী বীভৎসতা
তবু শান্তির পায়রারা ভীষণ রকম নিশ্চুপ-নীরব
হায় ! এ নীরবতা
যেন অন্যরকম এক নিষ্ঠুরতা !!!


ফিরোজ, দিলকুশা, ২৪/১১/২০১৬