মনের রঙটি সাদা হলে, আঁধার মাঝে কালো
রৌদ্র-ঝরা সোনালী রঙ, তাকেই বলে আলো
অন্তর তলে রইল চেতন, চর্ম চোখে নাই
অনুরাগের রঙ যে তাঁরই, কোথায় খুঁজে পাই!


শরৎ আকাশ গুচ্ছ-গুচ্ছ, শুভ্র-সাদা মেঘ
বিশ্বলোকের গতির চাকা, থামছে না তার বেগ
বৃষ্টি-জলে সবুজ-সতেজ, ঢেউ করিছে খেলা
বিধির প্রেমের নয়ন জলে, চলছে প্রাণের মেলা।


দূর আকাশে এক ফালি চাঁদ, উঠলো রাতে হেসে
স্নিগ্ধ আলোয় জ্যোৎস্না জোয়ার, আসলো ভালোবেসে
অরুণ-কিরণ আলোর বানে, খেলছে লুটোপুটি
দিবস তারই চক্ষু খোলে, আঁধার গুটিসুটি।


জলের মাঝে সাগর তলে, হরেক প্রাণের খেলা
আহার-বিহার রিযিক অপার, নেই কোনো ঝামেলা
বন মেতেছে ফুলে-ফলে, পাখির কলতানে
টিনের চালে বৃষ্টি নাচন, পুলক-শিহরণে।


পুবাল বায়ে দুলছে ঢেউয়ে, গভীর ঘনো দেয়া
নদীর বুকে মাঝ বরাবর, ভাসছে এখন খেয়া
নবীন মুখে সুজন মাঝি, গাইছে ভাটিয়ালি
বিস্মিত চোখ খুঁজছে তারে, দিচ্ছে হাতে-তালি।


প্রেমে রসিক হয়ে আশিক, অনন্ত সাগরে
প্রেমের জোয়ার উথালপাথাল, রয়-যে ভীষণ ঘোরে
কবির হৃদয় স্বপ্নে বিভোর, কাল পেরোলে মহান
অনুরাগের সকল ছবি, থাকে অতি যতন।


মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে, বাজায় রাখাল বাঁশি
সকল প্রাণের মুখে-মুখে, একটু চিলতে হাসি
চুপি-চুপি রঙ লাগিয়ে, থাকছে সবার সাথে
সব কিছুতেই রয়-যে ছোঁয়া, কেবল তাঁরই হাতে।


স্বরবৃত্ত ছন্দ (কাঠামো ৪+৪+৪+২)


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০৭/১২/২০১৫