স্বাধীনতার সুখে আহা !
ভেবেছিলাম নির্ভেজাল কথাগুলো
বাধাহীন অকপটে বলতে থাকব
তাদের, তোমাদের, সকলের কথাগুলো
সিংহনাদে ইথার কাঁপাবে
আঁধার ফুঁড়ে সন্ধ্যা রাতের জোনাকিদের
মুক্তমঞ্চে হবে বিচরণ
অবরুদ্ধ শক্ত দেয়াল পেরিয়ে
অসুখী আত্মারা উজ্জ্বল আলোকে পাবে প্রশান্তি
কত না বিশ্বাস ছিল !
মুক্ত আবির-স্পর্শে ময়দান হবে অনুরঞ্জিত
সবুজ আভায় আভায় সাজে হবে অপরূপ
কলি, ফুল, ফল, লতা-পাতা, বৃক্ষরাজী, প্রকৃতি
ইট, কাঠ, বসত, প্রতিটি বন্দরে
অদম্য সাহসীর উচ্ছ্বাস, অগণিত প্রত্যাশার ভীড়
স্বাধীনতা সে কী এক মোহনবাঁশি !
পাঁজরে পাঁজরে শুধুই সুর মূর্ছনা ।


অতঃপর হঠকারী উদ্দামতা, যথেচ্ছাচার
অবাঞ্ছিত শ্বেতহস্তী কিংবা লাগামহীন ঘোড়ার
অবিরাম অগোছালো মহড়া
নীতিহীন কারুকাজে
ক্রমে ক্রমে অবনত মুক্তির শ্লোগানের হাত
অনিয়মের ঘুণপোকাদের বিস্তৃত শক্তিমত্তা
বিবেক বিকানো ইশতেহারে স্বাক্ষর
কণ্ঠরোধ, হত্যা, গুম, ত্রাস
অসংগত মৃত্যুর মিছিলে মিছিলে শুধুই দুর্গন্ধ
যেন বিরতিহীন ছুটতে থাকা
পতনের অনিবার্য গন্তব্যে ।


এখন মনে হয়
স্বাধীনতার নতুন মানে খুঁজতে হবে …
তবে কী আবার পতন !
অসংযত স্বাধীনতায় কী
বেহিসাবী ঔদ্ধত্যের হাতে কণ্ঠরোধ
ক্রমাগত বেজে চলা রুদ্ধ হবার গান !
মুক্ত হবার পথ হারিয়ে কী
নতুন করে ফিরে আসা শোষণের শাসন !!!


ফিরোজ, দিলকুশা, ২০/১১/২০১৭