ওহে প্রবুদ্ধ! কোন সে হেতু?
আমার প্রতি নজর কেন নিবিড়ে নিবদ্ধ?
অতি সন্নিকটে দাঁড়িয়ে আছো
অথচ মনে হয় কেউ যেন দূরেক্ষণে মগ্ন
দৃষ্টি রেখা চলে গেছে সুদূরে, বহুদূর দিগন্তে …!


হে যুবক! আবেক্ষমাণ চক্ষুদ্বয় আটকে গেছে তোমার প্রতি


বিলোকনে কী পেলে হে বরীয়ান?


তরুণ - তোমার মগজের কোষে কোষে
ঝর্ণার চপলতা বেঁধেছে ঘর
আঁকাবাঁকা স্রোতধারায় এক হালভাঙ্গা নাবিক …


হে বরিষ্ঠ! কথাটি সঠিক
তবে তোমার দৃষ্টি ভারী নির্লিপ্ত, অতি শান্ত-শীতল
যেন প্রবল ঝঞ্ঝাতেও অবিচল-স্থির
আর দেহখানা শক্তিহীন, ম্রিয়মাণ বটে …


তারুণ্যের দেহ ভারী বলবান
পেশীবহুল ভাঁজে ভাঁজে প্রতাপের নৃত্য
প্রখর সূর্যের অতিশয় তেজ
নবযৌবনের টগবগে দিশাহীন ছুটন্ত ঘোড়া
তবে সব যেন বহ্নিশিখায় জ্বলে পুড়ে ছারখার …


হে সম্বুদ্ধ বরীয়ান!
অন্তর বিদীর্ণ করে তোমার নেত্রযুগল
এফোঁড় ওফোঁড় করে বক্ষ
চপলা প্রস্রবণে ছটফট অস্থির আমি, কি চাই - কি খুঁজি, অজানা
অবিরাম দিশাহীন ছুটে চলি অজ্ঞাত সম্মুখে …


পথে পথে আমিও ছুটে চলেছি বহু বহু যুগ
হে নবীন! আজ তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে
বহুদিন আগে তা পেরিয়েছি
অভিজ্ঞ অভিজ্ঞায় মিশে যাক সময়ের ব্যাপ্তি


হে অগ্রসর! তবে তাই হোক
প্রখর রৌদ্রতাপে বৃক্ষের ছায়া হও
তীব্র স্রোতধারায় তরণীর হাল হও
দূর সমুদ্রে দিশা পেতে গড়ে তোল বাতিঘর …


ফিরোজ, মগবাজার, ১৮/০৬/২০২১