(পঞ্চম পর্ব)


লক্ষ্যবিহীন সৃষ্ট নয় কোনকিছুই
মহান প্রভু বলেন, বিনা কারণে সৃষ্টি করা হয়নি
মহাকাশ ও পৃথিবী এবং এ উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে
সর্বোত্তম অবয়ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতায় সৃষ্ট মানুষ
যার মাঝে বিরাজিত বিবেক ও প্রবৃত্তি
দুটি বিপরীত দ্বান্দ্বিক শক্তি
যাতে তারা ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে ।


স্রষ্টা বলেন, হে ফেরেশতাকুল !
পৃথিবীতে প্রেরিত হবে আমার প্রতিনিধি
ফেরেশতাকুল বলেন, তারা কি এমন
ফেতনা, ফ্যাসাদ, রক্তপাত, যুদ্ধে হবে লিপ্ত তথায়
অথচ প্রতিনিয়ত আমরা
আপনার তাসবিহ, প্রশংসা, পবিত্রতা ঘোষণা করছি
মহান নিয়ন্তা বলে, নিশ্চয়ই আমি যা জানি
তোমরা তা জানো না ।


স্রষ্টা স্বয়ং প্রাকৃতিক জগতের পরিচালক
মানুষ তাঁর প্রতিনিধি
মানুষ নিমগ্ন হবে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতে (দাসত্বে)
মহান প্রভুর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে
স্রষ্টা নির্ধারিত ন্যায়ের বাস্তবায়ন ও অন্যায় প্রতিরোধের মাধ্যমে
তারা নিয়োজিত হবে মানুষের কল্যাণে
প্রভু বলেন, হে আত্মসমর্পণকারী !
তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, মানবতার কল্যাণে
তোমাদের উদ্ভব, তোমরা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে
আর ইনসাফ বাস্তবায়ন ও জুলুম প্রতিরোধ করবে ।


মানুষের জীবন ও সকল সম্পদের মালিক স্রষ্টা
মানুষ আমানতদার মাত্র
এ আমানতের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মানুষের
মহান প্রভু বলেন, পরীক্ষা করতে
আমি মানুষকে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি
আরো দিয়েছি পথের নির্দেশনা
হয় সে কৃতজ্ঞ হবে না হয় অকৃতজ্ঞ ।


সব কর্মই (উদ্দেশ্যমূলক ও পাথেয়মূলক) ইবাদত
যদি লক্ষ্য তার স্রষ্টার সন্তুষ্টি
এবং স্রষ্টা নির্ধারিত ন্যায়ের বাস্তবায়ন
আর অন্যায় প্রতিরোধ করে মানুষের কল্যাণ সাধন
স্রষ্টার ইচ্ছা মানুষ গড়ে তুলুক
কল্যাণকর সমাজ ও শান্তির পৃথিবী
মহান নিয়ন্তা বলেন, তোমরা কি কিতাবের
কিছু অংশ অনুসরণ করবে ও কিছু অংশ মানবে না
এরূপ করে যারা, জেনে রাখো তাদের
এ জীবনে রয়েছে চরম অপমান ও লাঞ্ছনা
আর পরকালে কঠোরতম শাস্তি
নিশ্চয়ই সুপথ গোমরাহ (বাতিল) হতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে
মহান স্রষ্টা সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী ।


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ২৫/১১/২০১৬