তখন হঠাৎ ঝুলবারান্দা হতে রাস্তায়
জ্বলে উঠেছিল নিয়নবাতির আলোকিত সংকেত
চোখের সামনে দূষিত নগরের বিবর্ণ দালান-কোঠা
নিঃশ্বাসের গ্রন্থিকে জাপটে ধরে ধুলো-বালির মলিন আস্তরণ
চারদিকে অবিরাম শব্দদূষণের কোলাহল
চোখবন্ধ খসড়া খাতার পৃষ্ঠাগুলিতে
কে বা কারা যেন অবিরত লিখে যায় গল্পের পর গল্প
সে সবের বেশিরভাগই শুকনো কষ্টে মোড়ানো
দৈবাৎ আলো ঝলমলে - না জানি অন্দর কতটা বিকৃত!
বহুতলের ছাদ হতে
ঠোঁট ও নাকের স্পর্শ পায় আকাশের নীল
দেয়ালে আটকা শীতাতপ কক্ষের কৃত্রিম আলোতে
সূর্যের উদয়-অস্তের শূন্যতা বোধগম্য না হলেও
দিগন্তের বিস্তর ব্যবধান এঁকে দেয় মানুষে মানুষে
সুরম্য অট্টালিকার অন্ধকারে ঢাকা পড়ে বৃক্ষের ছায়া
দুঃখের নাভিশ্বাস ওঠে টিসিবির ট্র্যাকের পিছে পিছে


বিশুদ্ধ বাতাসের তাড়নায়
প্রকৃতি ও প্রাণের প্রেমানুরাগে
একটি নির্মল বিশ্বাসী ভোরের প্রত্যাশায়
অস্ত পাটে রাঙা কোন এক গোধূলির মায়ায়
ছুটে যেতে চায় মন
অথচ নিত্যদিনের নগর-অভিলাষে কেবলই ভর করে দীনতা।


ফিরোজ, মগবাজার, ২৮/০৩/২০২২