এক রমণীর সঙ্গী হয়ে
কত দিন, কত রাত্রি কাটিয়ে দিলাম
অঙ্কিত প্রতিমূর্তির মতো নগ্ন সে
সঙ্গীর প্রতি ফিরে দেখা আরক্তিম উদ্ভাসিত মুখ তার
যেন কোমল দীপ্তিমতী মোমবাতির আলো
উদার আগুনের সঙ্কেতশিখার মতো বক্ষযুগল
মরুভূমির রাত্রিতে
হিমশীতল পুরুষেরা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে
পাহাড়ের উপর দিয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায়
উত্তর, দক্ষিণ, কাফেলার অবস্থানের থামগুলিতে।


এখনও খুব আমুদে-লীলাপর তার কৈশোরের ফর্সা গাল
ফিরে আসি যখন পোশাক ভুলে যেতে বাধ্য হই
মোলায়েম ও নরম ছোঁয়া পেতে
শিশুরা যেমন বালিয়াড়ির বৃত্ত মাড়াতে ভালোবাসে
পরিপূর্ণ কামনার অভিলাষে প্রেমিক যখন
তার পোশাক উন্মোচন করে
পিছনে সেঁটে যায় সে
প্রেমিকের প্রতি ঈষৎ ঝুঁকে পড়ে
সরু কোমর বাঁকিয়ে দৃঢ়তর আঁকড়ে ধরে
উন্মাদক দু-ঠোঁটের মধ্য হতে
জড়িয়ে দেয় ঘন নিঃশ্বাসের স্পর্শ।


(প্রাচীন আরবিয় ক্লাসিক কবি ইমরুল কায়েসের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ “May You Be Happy This Morning, Worn Traces!”  অবলম্বনে।)


ফিরোজ, দিলকুশা, ১৫/০৯/২০২০