যেখানে থাকতে নেই
সেখানে আছি আমরা
এখানে যোদ্ধাদের লজ্জিত হতে হয়
শীর্ষ মগজের চিন্তাগুলো পচা গলিত পুঁজ
এখানে মূর্খরা জ্ঞানীর পোশাকে সজ্জিত
আর প্রজ্ঞাবান জ্ঞানীরা লুকানো গুহার অন্দরে
সততার সরলতা মুখ গুঁজে ঘরকুনো
এখানে শীতের রুক্ষতা-
মৌসুমী আর্দ্র হাওয়াকে শুকিয়ে দেয়


যেখানে থাকার কথা
সেখানে নেই আমরা
এখানে সূর্য সন্তানদের কবরে লুকিয়ে রাখা হয়
নিত্য কর্ম-কোলাহলে - সভাতে তাঁদের দেখা নেই
কলা গাছের নির্দেশনায় সেগুন কাঠে ঘুণ ধরে
দেবতারা পালিয়ে গেছে এখানকার ধর্মালয় হতে
হঠকারী বন্দনায় ক্ষমতার কুরসী হয় দেবতার আসন


যেখানে থাকতে চাই
সেখানে নেই আমরা
এখানে দৃষ্টিগুলো মাছেদের আনমিত শীতল চোখ
একবার চোখ পড়লে নিরুদ্দেশে নিয়ে যায়
অনুকম্পার জিহ্বাগুলোয়-
ঘোর লাগা বিজয়ের চিহ্ন আঁকা
কথার তোড়ে ক্রমাগত তীর হতে ফসকে যায় ধনুক
দন্তগুলো অনবরত চর্বিত চর্বণে ব্যস্ত


ঘরের মধ্যখানে আগুনের কুণ্ডলী
প্রথম আসমানে মেঘেদের গম্ভীর গর্জন
বড় বড় গাছেদের মস্তকে অনাহুত বজ্রপাতের শঙ্কা
এখানকার স্টিয়ারিং-এ বসে থাকা চালকেরা হুঁশে নেই
পাহাড়ের দেয়ালে দেয়ালে ড্রিল মেশিনের অবিরাম শব্দ
অন্তরে-অন্তরে সমুদ্রের নোনা স্রোত বয়ে যায়
মধুর ভাণ্ডতে লবণের চাকতি ফেলে খোঁজা হয় অমৃতের স্বাদ


আমাদের বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা


যেখানে থাকতে নেই, সেখানে আছি আমরা
যেখানে থাকার কথা, সেখানে নেই আমরা
যেখানে থাকতে চাই, সেখানে নেই আমরা
অথচ কথা ছিল আমাদের ঘর হবে-
প্রতিশ্রুত স্বর্গীয় উদ্যান …!!!


ফিরোজ, মগবাজার, ২৫/০৮/২০২১