হুড়মুড় ভেঙে পড়ছে ঘুণে ধরা পাটাতন
অসহায়ের আর্তি শোনার কথা যার
থাকার ঘরটি তার অনেক আগেই ঘুণের ধুলোয় বিলীন
অনাচার-জুলুমের নালিশ দেবার জায়গা নেই
আইনের ভাঁজ খোলার কক্ষে
বন্ধক দেয়া মগজের ঠাসাঠাসি ঠেলাঠেলি
মহামান্যের বসার স্থানটিতে
অগোচরে কখন যেনো সিঁদেল চোরের গর্ত


বিশেষ প্রাসাদের অন্দরে বিনোদনের জাঁকজমক রঙ্গমঞ্চ
ভাঁড় আর দুষ্ট বণিকের জমকালো মজমা
যদি বলো বৈধতার টিকেট পেলো কেমনে ?
সে আর বলতে -
কোন এক মৌসুমে সূর্য ডুবেছিল
সন্ধ্যার পর ভূতের কারসাজি, স্বয়ংক্রিয় গলাভর্তি
ব্যাস প্রস্তুত টিকেট … !


আবে ঐ … ! ভারিক্কি কণ্ঠ ছাড়ে ঘাড়মোটা চিতল মাছ
পুকুরের সব মাছ গেলো কই ?
গলাধঃকরণে মজাদার রসনাতৃপ্তি, এটা নাকি তার বৈধ অধিকার
খাকি রঙের মাস্তানি-লাঠি হাতে তেড়ে আসে
পিঠে পিঠে দ্রুতলয়ে নাচন তোলে
না হয় লোহার চুড়ি পরে এগিয়ে যাও
গারদ প্রস্তুত …
এটা ওদের আজন্মের লাইসেন্স
তবুও-তো সেটা এক থাকার জায়গা বটে !
কপালে যাদের নিরুদ্দেশের ঠিকানা …
তাদের চোখের সামনে না জানি কতো রঙ খেলা করে !


চারিপাশে কেবলই ঘুণে ধরা পাটাতন
ক্রমাগত হুড়মুড় শব্দ শোনা যায়
ধেয়ে আসছে ধুলোঝড়
শুধুই কুয়াশা, আতঙ্ক, আর্তনাদ, চিৎকার, অন্ধকার …


ফিরোজ, দিলকুশা, ০৫/১২/২০১৯