(বিগত ০৮/১২/২০১৬ তারিখে প্রিয় কবি গোলাম রহমানের আসরে পোষ্টকৃত 'শুশ্রূষার হাত' কবিতাটি পড়ে আমার অন্তরে যে নিজস্ব ভাবের উদয় হয় সে প্রেক্ষিতে এই কবিতা লেখা ৷ কবিতাটি আসরের প্রিয় কবি গোলাম রহমানের প্রতি উৎসর্গকৃত ৷)


সুজলা সুফলা শ্যামল মাতৃকার
অমলিন রূপ, রস, গন্ধের দেশপ্রেম নির্যাসে
বেড়ে ওঠা নির্ভীক স্বাধীন চেতন
একদা আমরা ভারী অদম্য ছিলাম
আমাদের বুকে ছিল না ভয়ের কোন লেশ
স্ববশ চেতনে, আপন পায়ে পায়ে
সংগ্রামী ছুটে চলা কাল হতে কালে ৷


শশাঙ্ক হতে একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ
অগণন দুঃসাহসী সিনাটান সংগ্রামী যোদ্ধা
আপোষহীন অকুতোভয় বীর
নতি করেনি স্বীকার, নেয়নি মেনে কভু
রক্তচক্ষু, অধীনতা, কোন গোলামির জিঞ্জির
অনেক সম্প্রদান, সাহসী রক্তের ধারায়
অবশেষ পেলাম আমরা
এক লাল-সবুজের পতাকা, বড়ই প্রিয় একটি দেশ ৷


অথচ এখন জরা, জড়তা ভর করেছে ভীষণ
জানিনা কেন শিরদাঁড়া একটু বাঁকা
ক্ষীণবলে কোমর যেন নুয়ে পড়তে চায় ৷


কোথায় জননী তোমার কোমল হৃদয়
কৃষক-শ্রমিক, সবুজ, ফসলী নিঃশ্বাসের নির্যাসমাখা
শিশিরস্নাত নিসর্গের আবেশিত শুশ্রূষার হাত
যে হাত মিলিয়ে দেয় বক্ষ বিদীর্ণ ভয়ানক ক্ষত
সে হাত ফিরে পেতে বড়ই উতলা এখন
তার শ্যামল কোমল ছোঁয়ায় হবো চমকিত সজাগ
সতেজতায় তৃপ্ত হবে প্রাণ
তেজী হবে দুরন্ত সাহসের ঘোড়া ৷


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০৮/১২/২০১৬