অগণিত চাইলাম; অগণিত পেলাম।
অগণিত চাইলাম; সামান্য পেলাম, প্রায় কিছুই পেলাম না।


আর মধ্যখানে? কিছু আস্তানা অন্দর খুলে দিল।
ভুল করে একজোড়া জুতো রান্নাঘরের টেবিলের উপর।


ওহ! ভুল, ভুল - আমার স্বভাব ছিল এমন।
কঠোর হৃদয়ের, নিস্পৃহ ছিলাম, স্বার্থপর,
স্বৈরাচারে অনমনীয় ছিলাম।


অতীতের শৈশবেও, সবসময় এমন ছিলাম।
ছোট্ট, ধূম্রকেশী, অন্য শিশু হতে আতঙ্কিত।
কখনই বদলায়নি। কাচের ভিতর, বিমূর্ত
নিয়তির জোয়ারে রূপান্তরিত
রাতারাতি উপর থেকে একদম নীচে।


দিব্যশক্তির প্রতি, এটা কি সমুদ্র ছিল?
জবাব এলো, হয়তোবা; নিরাপদ হতে,
প্রার্থনা করলাম, ভাল হতে চেষ্টা করলাম,
দ্রু্তই মনে হল - সন্ত্রাসে যা শুরু হয়েছিল
নৈতিক স্বকামে তা পূর্ণতা পেল
মানুষের প্রকৃত উন্নতি
বাস্তবে পরিণত হতে পারে। সম্ভবত তাই
আমার হাত ধরে বন্ধুরা যা বোঝালো
তারা আমাকে বলল বুঝতে পেরেছে
অপব্যবহার, অবিশ্বাস্য, ছি! ছি! আমি মেনে নিলাম,
ইঙ্গিতে (যা একবার ভেবেছিলাম) আমি একটুখানি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম
অতি সামান্যের বিনিময়ে অনেক বেশি দিতে।
যদিও তারা (নিবিড়ভাবে আমার হাতে হাততালি দিয়ে)
বোঝাল আমি বেশ ভাল ছিলাম -
এক ভাল বন্ধু ও ব্যক্তিত্ব, করুণার আজ্ঞাবহ নয়।


অবজ্ঞেয় ছিলাম না আমি! সর্বতোভাবে আমি ছিলাম,
রাণী বা সন্তের মতো।


ভালোই, এর সবই কৌতূহলোদ্দীপক অনুমান তৈরি করল।
আর আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো
প্রচেষ্টাতে বিশ্বাস করা, বিশ্বাস করা যে
সাধারণ চেষ্টাতে ভালো কিছু আসবে,
প্ররোচনাকারী বা প্রলুব্ধকারী নীতিবর্জিত সূত্রপাতকারীদের নিকট
কোন ভাল কিছু একেবারেই সমবেদনাহীন -


এ ছাড়া আমরা কী?
অন্ধকার মহাবিশ্বে আবর্তিত,
একা, ভয়, নিয়তির উপর প্রভাব বিস্তারে অক্ষম -


আসলে কী আছে আমাদের?
মই, জুতা আর দুঃখজনক ছলাকলা,
নোনতা কলাকৌশল, অশুচি প্রেরণায়
বারবার চরিত্র গঠনের প্রয়াস।
মহান সত্তাকে তুষ্ট করার কী আছে আমাদের?


এবং অবশেষে মনে করি এ এক প্রশ্ন
যা আগামেমননকে ধ্বংস করল, সেখানে সৈকতে,
গ্রীক জাহাজ প্রস্তুত, প্রশান্ত বন্দরের ওপারে অদৃশ্য সমুদ্র,
মারাত্মক ভবিষ্যত,
অস্থির: সে বোকা ছিল, এই ভেবে যে
এটা নিয়ন্ত্রিত হতে পারবে। তার বলা উচিত ছিল
কিছুই নেই আমার, তোমার দয়ার উপর বেঁচে আছি।


(সাহিত্যে সদ্য নোবেল জয়ী আমেরিকান কবি Luise Gluck এর কবিতা “The Empty Glass” অবলম্বনে)


ফিরোজ, মগবাজার, ১২/১০/২০২০