বাবুল সোনা অবাক হয়ে
ভাবছে সে আজ রাজা
বাবার দেওয়া পাঁচটি টাকায়
হবে অনেক মজা।
মজার নেশায় বাবুল যখন
নাচছে ড্যাড্যাঙ্গ ড্যাঙ্গ্
একটি টাকা ফাঁকতালেতে
নিয়ে গেলো ব্যাঙ,
খানিক পরে টাকা গুলো
গুনতে গেল যেই
পাঁচটি টাকার চারটি আছে
একটি টাকা নেই!
অবাক বাবুল ভাবছে যখন
কোথায় গেল টাকা-
সুযোগ বুঝে টানল একটি
গুবরেপোকার খোকা।
বাবুল দেখে মহাবিপদ
পূঁজি ক্রমেই ক্ষীণ,
চারের থেকে আর এক গেলো
রইলো বাকি তিন।
ভয়ের চোটে রাখলো বাবুল
টাকা মাটির নিচে-
ইঁদুর ভায়া তার একটি
খেলেন চেছে পুছে।
তিনটি টাকার একটি গেলো
থাকলো মাত্র দুটি-
প্রমাদ গুনে বাবুল সোনা
নিয়ে এলো এক ঘটি
বুদ্ধি করে রাখল তাতে
ঢাকনা দিলো আটি
কিন্তু কপাল মন্দ বলে;
সব হলো তার মাটি।
পূষিভায়ার ল্যাঙ্গ খেয়ে ঘটি
উল্টে গেল যেই-
আরশুলাতে একটি টাকা
নিয়ে গেলো সেই।
একে একে এইভাবে তার
যাচ্ছে টাকা গুলি
দুই এর থেকে আর এক গেলো
রইলো একটি খালি।
মনের দুঃখে বাবুল যখন
কাঁদছে বসে বসে,
বাকীটা কেও নিলে তখন-
কাঠবেড়ালি এসে।
একটি করে পাঁচটি যখন
বেবাক গেল চলে-
আনন্দে তে নাচবেনা আর
বাবুল তখন বলে।