হে ৭১রের মার্চ
তুমি হায়নাদের দিয়ে,
মোর জীবন-যৌবনের উপর
অনেক অন্যায় অবিচার করেছিলে।
তখন আমার নির্বাক চোখমুখ কিছুই বলেনি।


কতযে ঘৃণা করেছিল নিন্দুকেরা,
তবুও লজ্জায় নিজেকে নিঃশেষ করিনি,
আমার সই কচি’র মতন।
কোন প্রকার কান দেয়নি পিছু কথার।


অস্ত্র ধরেছি,
বলবে অব’য়া স্বাধীন বাংলার মানুষ।
করবেনা কদর নতুন প্রজন্ম,এ ত্যাগের ?
না করুক।


মান দিয়েছি,এখন জান দেব।
তবু-অ আমার মত আর কোন মায়ের
বৌযের,বোনের ...
বাকরুদ্ধ অখিঁর জল,
এ বাংলার জমিনে ফেলতে দেবনা।


দীর্ঘ ৯’মাস ,
তুমুল সংগ্রামের পর থামলাম।  
কত ক্ষয়-ক্ষতি, কত কান্না,
কত প্রান,লক্ষ লাশ,হাজার সমভ্রম...
আর রক্তের বন্যা,
লড়াই শেষ স্বাধীন হলাম।


আজ
কত বছর পেরিয়ে গেল।
বাংলা মায়ের কুলে ...
প্রসব হচ্ছে কত নব্য সন্তান।
জীবনের প্রথম চিৎকারে,
ভূমিষ্ঠ হচ্ছে কত শিশু ।
স্বাধীন বাঙ্গালী হয়ে।
কি সুভাগ্য তাদের ...
তাদেখে গর্বে,আনন্দে...
বুক ফেটে সুখের অশ্রু বহে।


অনেক দিন পর...
ভালো করে দেখলাম নিজেরে।
দিঘল কালো কেশগুলো,
জীর্ণ সাদা হয়ে গেছে।
গ্লিসারিন মাখা কোমল সাদা ত্বকে,
আজ ভাঁজ পড়েছে ।
খুব কাছের জিনিস কে,
আজ দেখতে কেমন যেন অস্পষ্ট মনে হয়।


মনে হয় জীবন রেল গাড়িটা,
তার গন্তব্যের খুব কাছাকাছি।
এখন...।
থামার জন্য শুধু রেড সিগন্যালের অপেক্ষায়।
শান্তি লাগে আজ পরম শান্তি লাগে।


কত দুঃখ,কত কষ্ট,
চেপে রেখেছি আজও,
আরও কত কাহিনী,
কত সৃ্তি যা বলে শেষ করা যাবেনা।
তবুও শান্তি লাগে,
কেমন যেন মধুর শান্তি।
বলে বুঝাতে পারবনা...!!!


সব শান্তি,
হাজার না পাওয়ার মাঝে।
শুধু একটি শ্রেষ্ট পাওয়ার জন্য’
যা অর্জিত হল,
লাখো শহীদের আত্মার বিনিময়ে।


সবুজ সমারহ, মুক্ত বায়ু,
প্রশান্ত আকাশ,
লাল-সবুজের পতাকা ঘিরে'
আমার বাংলাদেশ,
মোদের বাংলাদেশ,মোদের বাংলাভাষা।


হে বাংলা ...
তুমি চিরকাল বেঁচে থাক বুক উঁচিয়ে।
সকল অন্যায়,সকল ভেদাভেদ,
ভেঙ্গে দিয়ে সব বাঁধ ,
বেঁচে থাক বাঙ্গালীদের মাঝে।
এ মোর আশা এ মোর কামনা তুমা