একটি দোতলা ফ্ল্যাটে লকলকে খরার দুপুরে
কিঞ্চিৎ ছায়ার লোভে দেয় হানা। পয়লা বৈশাখে।
ছিলাম আমরা বসে মুখোমুখি নতুনের ডাকে
অনেকেই বহির্মুখী। বৈশাখী মেলায় যে রোদ্দুর
ছিলো, তারই আভা বুকে নিয়ে, বলো কতদূর
শৈশবের টলটলে পুকুর আমার বলে কাকে
তোমার দু’চোখে পাই, কী খেয়ালে তুমি স্তব্ধতাকে
হঠাৎ দুলিয়ে ফ্ল্যাটে হও পুরোনো গানের সুর।


যখন তোমার কণ্ঠে সাতটি সুরের উন্মীলন
চতুষ্পাশ্বে মায়া বোনে, আহত হরিণ শুশ্রূষায়
ক্রমান্বয়ে সুস্থ হয় অরণ্যের তন্দ্রালু ঊষায়,
ভবঘুরে পুনরায় ফিরে পায় গার্হস্থ্য জীবন,
আমার অসুস্থ মন অমৃতের খর পিপাসায়
আতর্স্বরে করে উচ্চারণ-চাই ভিন্ন জাগরণ।


   (মাতাল ঋত্বিক কাব্যগ্রন্থ)