কত না জায়গায় চলে যাই, কত বেগানা শহরে,
শহরতলীতে ঘুরি, অথচ যাই না দীর্ঘকাল
পিতৃপুরুষের গ্রামে। সেখানে ঘুমন্ত পিতামহ,
মাতামহ এবং আমার পিতা, স্বল্পায়ু আত্মজ,
আরো অনেকেই পারিবারিক কবরস্থানে। ভাবি,
কবরের স্তব্ধতাকে প্রায়শই ঈষৎ বিব্রত
করে ঝিঁ ঝিঁ পোকা আর আন্ধারকে বুঝি চম্‌কিয়ে
দেয় জোনাকির দল, ঘাসগুলো দীর্ঘশ্বাস ফ্যালে।


কোনো কোনো মধ্যরাতে মনে হয়, দূর থেকে ভেসে
আসে গাঢ় কণ্ঠস্বর, ‘আমার কেমন পুত্র তুই
এখানে আমার পাশে দাঁড়াবার সময় হয় না
তোর?’ আর একটি সবুজ জলমগ্ন কণ্ঠ ‘বাবা’
বলে থেমে যায় অভিমানে। আমি এই নাগরিক
জীবনঘানিতে বাঁধা দিনরাত, কী করে বোঝাবো?


   (তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি কাব্যগ্রন্থ)