কোথায় শিউলিতলা, সেই কবেকার ভোরবেলা-
যখন কুড়িয়ে ফুল, পেরিয়ে শিশিরভেজা পথ
বসতে পুকুর ঘাটে, দৃষ্টি মেলে দিতে তুমি দূর
বহুদূর বনানীর দিকে অথবা সাঁতার কেটে
কাটতো তোমার বেলা কারো কথা ভেবে নিরালায়?
কোথায় সে তন্বী যার বুকে গোলাপের অব্যর্থ উন্মেষ?
কোথায় সে প্রতিবাদী তরুণ যে ছিলো সর্বক্ষণ
তোমার হৃদয় জুড়ে অনিন্দ্য স্বপ্নিল অশ্বারোহী?


যেও না অতীতে ফিরে, এখন ফেলো না দীর্ঘশ্বাস
অতিশয় কালদগ্ধ শিউলিতলার কথা ভেবে।
এখন তোমার কানে একজন প্রৌঢ়ের আড়ালে
যে যুবা আবৃত্তি করে হৃদয়ের নতুন সংহিতা,
ফিরিয়ে দিও না তাকে, কেননা সে শিলীভূত বুকে
সহজে জাগাতে পারে পাথরগলানো প্রস্রবণ।


   (মাতাল ঋত্বিক কাব্যগ্রন্থ)