লোকগুলোর কী হয়েছে বলোতো
মুখে কুচকুচে অথবা ধবধবে দাড়ি দেখলেই
অথর্ব মোল্লা ঠাউরে নেয় আর
উশকো খুশকো চুল ময়লা ট্রাউজার
হলুদ উদাসীনতা-ছাওয়া
চোখ দেখলেই ছন্নছাড়া পদ্যলিখিয়ে


কী যে বোঝাতে চায় এই নিদ্রাচারীরা
ওরা নিজেরাই তার মর্মেদ্ধার
করতে পারবে কি না তা’ নিয়ে
বিস্তর জল্পনা কল্পনা করা যেতে পারে
ঘুমের জঠরে ক্ষণিক বসবাসকালীন সময়ে কী কী বলা হয়
জেগে ওঠার পর অবোধ্য তন্ত্র মন্ত্র


ওরা বলছে সমাজতন্ত্র কফিনে শায়িত
শেষ পেরেক ঠোকা খতম হয়ে এলো ব’লে
গির্জার পথেই মুক্তি হতে পারে সাবলীল
আমি বলি ব্যান্ডেজবাঁধা মাথা নিয়ে মার্কস এবং লেনিন
আকিদা আর মমতায় আগলে রাখছেন সমাজতন্ত্রকে
কবরের উপর সূর্যমুখী আশ্বাসের আভা
যা বলে বলুক লোকগুলো
ওদের কথামালাকে পাথর চাপা দেওয়া নিরর্থক
এক ঝটকায় সুন্দরের ঘাড় মটকে দেওয়া
সত্য-শিবের পশ্চাদ্দেশে কালি মেখে উদ্বাহু নৃত্য
কুবাক্যসমূহকে সুসমাচারের আদলে
পেশ ক’রে হাওয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া ওদের পেশা


ওদের প্রত্যেকের হাতে বিষঝরানো তীরধনুক
আমি কি ক্ষমা করতে পারবো ওদের
যাদের বাক্যশলাকায়
আমার কবিতা জর্জরিত ছটফটানো দুলদুল
যেভাবে হোক আগলে রাখা চাই
কবিতা আর পবিত্র সব লক্ষ্যবস্তুকে


লোকগুলোর যে কী হয়েছে
সূর্যের মুখে ওরা আলকাতরা লেপে দিতে উদ্যত
নক্ষত্রগুলো উপড়ে ফেললে ওরা হৈ হৈ মরদ
লোকগুলোর মুদ্রা আমি ওদেরই ফিরিয়ে দেবো
অসম্ভব নিশ্চুপ থাকা এই কালবেলায়
আমার কণ্ঠস্বর আজ ঈগলের উড়াল সবখানে


   (খন্ডিত গৌরব কাব্যগ্রন্থ)