ছিলাম তন্দ্রার ঘাটে, চোখ ঢুলু ঢুলু,
অকস্মাৎ বেনো জল। শ্মশানের কাঠ
ভেসে এসে বলে,
‘ধরো’; বুকে নিয়ে ভাসমান। অন্ধ জলে
অবিরল হাবুডুবু খাই।
ওপারে তন্দ্রার ঘাটে ব’সে আছে বেজায় একাকী
খেয়া মাঝি, নৌকো দোলে, ভাঙা দাঁড় হাহাকার বয়,
অসিত চাদরে ঢাকা বিশুষ্ক শরীর, ঘাড়ে তার বিষণ্ন
করোটি।


  (হরিণের হাড় কাব্যগ্রন্থ)