ঠিক কতটা ক্ষত নিয়ে জন্মেছিলাম আজ আর মনে নেই।
অয়েন্টমেন্টের প্রলেপে বাহ্যিক
চাকচিক্য বেড়েই চলেছে দিনদিন,
শুধু ভেতরের ক্ষতটা আজো চোট পেলেই টনটন করে উঠে।
.
নিয়ম করেই আমার বাবা মা'র গল্প হতো সেই আধমরা দিঘী আর কৃষ্ণচূড়ার কাছে,
আর কেউ শুনেনি
কেউ জানেনি সেই ব্যথা ভরা গল্প।
কেবল__ ওরাই জেনেছিল, কত রাত এঁটো সোঁদা আঁচলের গন্ধ খুঁজেছি
নির্ভরতার আঙুল ছুঁয়ে হাঁটতে  চেয়েছি কিছুটা পথ।
রাখেনি কথা সেই বোবা ঈশ্বর!


সময়ের ফ্রেমে দেখেছি কতো
ভালবাসার গল্প,
মেখেছি কতো উপেক্ষার উপহাস!
নিদারুন ভাবে জানিয়েছিল__ এক অপূর্নতায় কেমন করে বদলে যায় জীবনের ক্যানভাস।
ইশ্বরের সাথে তাই আমার আজন্ম বিবাদ।
.
আমি কখনোই কারো হইনি!
না ঘরের না পরের,
না কাছের না দূরের
না আত্মীয়ের না অনাত্মীয়ের,
না পাপের না পূণ্যের।
আমি হতে পারিনি আস্তিকের অথবা নাস্তিকের
না হয়েছি দেশের বা দশের,
আমি হতে পারিনি তোমার
না হয়েছি আমার
তাইতো শহরের গলিমুখে
নিখোঁজ সংবাদে সয়লাব!


আমার বুকের ভেতর যে টইটম্বুর নদী
মাধবীলতার প্রতিশ্রুতি
ভুবনবিহারীর নিলামের দস্তখতে নিজেকে আর খোঁজিনি।


আমি কারো হইনি!
হতে চাইনি _
কেবলি খুঁজে ফিরেছি সেই নারীর মৌনতা ভরা চোখ
এক পৃথিবী অভিমান আর এক পৃথিবী দুখ।