অবন্তিকা,
পলাশের সবটুকু রঙ দিয়ে লিখছি আমার
দীর্ঘ কবিতা
কোন গন্ধ নেই,শুধু ছুঁয়ে আছে গাঢ়
লালের প্রগাঢ় উষ্ণতা।
পড়ে নিও, জানি পেয়ে যাবে ঠিক
পেয়ে যাবে,
যেমন করে জীবনানন্দ পেয়েছিলেন
বনলতাকে।
বৃত্তাবদ্ধ বসুধার কোন কিছুই হারায় না
জানো তো?
.
শুনেছি আঁধার কে ভালবেসে বসতি
গড়েছো রাতের বুকে . .
অথচ তোমার চোখের আলো নিয়ে
কারা যেন আলোকিত করেছে তাদের
অন্দরমহল . .
এখন তোমার ও চোখে কেবল অমাবস্যা
রাত।।
.
মনে পড়ে?
একদিন সূর্যালোকিত হৃদয় নিয়ে
বলেছিলে," অরণ্য,আমাকে খোঁজো
বঞ্চিতের পাশে,ভাঙাচোরা রুগ্ন
পথশিশুদের মাঝে". .
আমি তোমার জ্যোতির্ময় চোখে
চেয়ে বলেছিলাম," পথেই ফুটাব ফুল
তোমার আমার হৃদয়ের সবটুকু আলো
দিয়ে" . ..
.
এক যুগ, দুই যুগ,তিন যুগ করে সময় বয়ে
যাচ্ছে কচ্ছপের গতিতে
তুমি এলে না,
বিস্ময়ে দেখো আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
আরেকটি আগুন ঝরা মিছিলের
অপেক্ষায়।
.
ফিরে এসো,
রাজপথ এখনো তোমার প্রতিক্ষায়।
প্রতিজ্ঞার দু'পায়ে এখনি শিকল পড়িও
না
কথা ছিল দু'মুঠো ভাত না হোক,
একটুকরো রুটির সংস্থান করে তবেই
শিকাগোর স্যাঁতস্যাঁতে রক্তের দাগ
ভুলে যাব মোরা।
বলেছিলে গনগনে আগুনে পুড়ে যাওয়া
তামাটে মুখের বিপরীতে অঝোরে
নামাবে বৃষ্টি।
.
অবন্তিকা,
হাজারো অতৃপ্ত রক্তের দাবি নিয়ে
বলছি
চলে এসো;
আবারো রাজপথ কাঁপাবো বলে ক্ষুধার
দুয়ারে জলাঞ্জলি দিয়েছি
হাজারো রাত্রি,
তুমি এলে তথাকথিত ইশ্বরের দু'চোখে
এঁকে যাব দুঃস্বপ্নের ভয়াল কালো
চিত্র।
.
আজো সাদাকালো রঙের ভাঁজে
আঁকি বর্ণিল ক্যানভাস
ঝলমলে সোনারোদ মুড়ে রাখবে
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল,
টগবগে লাল সূর্যটা হৃৎপিণ্ডে ধারণ করে
ফিরে এসো
যেখানে দিন বদল ফিরে আসবে
পরিযায়ী পাখির ডানায়।