নিজের ভেতরে এখন অনবরত ঘটে চলছে
ফিসান ও ফিউশান। স্মৃতি আর অতীত স্বপ্নের কণা
নিজেদের মধ্যে উভয় বিক্রিয়া করে করে
এগিয়ে যাচ্ছে ধংসের দিকে। মধুর কোমল
দুরন্ত মানবিক অনুভূতি নিঃশেষের দরোজায়।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা, বয়ে বেড়ানো এ জীবন নিয়ে
আমি ক্লান্ত। টিভির বিজ্ঞাপন দেখে বহুবার বহুবার
ডেক্সট্রোজের ডোজ নিয়েছি। ক্লান্তি কাটেনি।


দিন কয়েক হলো লোকে আমাকে “কবি” বলছে।
আমি কবি হতে চাইনি, তবে কবি হয়ে ভালো-ই হলো;
চুপি চুপি একা একা একদিন মুক্তি দেয়া যাবে নিজেকে।
সিলভিয়ার মতো কেরোসিন স্নানের পর জীবন তুলে দেবো
জ্বলন্ত চুলোয়। পুলক বাবুর মতো ছুড়ে ফেলে দেবো
জীবন কোন নদীতে কিংবা একুশ-তলার রেলিং থেকে
বিনা বাধায় জীবন-কে মুক্তি দেবো নিচে নামিয়ে দিয়ে।
সিলভিয়া গেছে। ভার্জিনিয়া উলফ,ডেভিড ফস্টার ওয়েলস
সেনেকা, হেমিংওয়ে, জুকিয়ো মিশিমা, অথবা
বাড়ির কাছের জীবনানন্দ দাশ, জীবন বয়ে বেড়ানোর
দায় আর ক্লান্তি কাটাতে যে পথে গেলেন;
আমি সে পথে বাদ যাবো কেনো? হয়তো শীঘ্র-ই যাবো!