নৈশব্দের কাছে গিয়ে কান পেতে থাকি।
যদি শুনতে পাই, আমাদের সেই আলাপন।
ব্যকুল হয়ে অপেক্ষা করি; যদি শুনতে পাই
সেই মাতাল করা শব্দ, ভালোবাসি ভালোবাসি।
শুনতে পাই না, শুনতে পাই হাহাকার আর
এক বোবাকান্না। সে আমার ভেতরের না
আগামীর জানি না। অন্ধকারে চোখ মেলে
চেয়ে থাকি; অপেক্ষা যদি তুমি আসো,
সেদিনের সেই সন্ধ্যের মতো। তুমি আসো না।
তাই জোনাকিরাও আসে না, চাঁদও না। শুধু
অন্ধকার আরও বিদঘুটে হয়। নিজেকে দেয়া
আমার নিজের নির্বাসনে, নিজের উপরে নিজের
এক অভাবিত নিয়ন্ত্রণ। সোনালী ডানার রোদ
এক বিকেলে খালি পায়ে হেঁটে গেছে সূর্যাস্তের দিকে।
এখন রোদহীন বিষন্ন সকাল, দুপুর। টের পাই
বিভ্রান্তির কালো রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে আমার ঠোঁটে
তোমার ঠোঁটের সেদিনের সেই ঘ্রাণ। বাদামী মগজ
ধীরে ধীরে কালচে থেকে কালো আরও কালো হচ্ছে।
শোচনার কষ্ট নিয়ে দেখি দিন-রাত পেরিয়ে যাচ্ছে,
শুধু সময় কাটতে চায় না আর ক্ষত অপরিবর্তিত।
এ ক্ষত মলমে নিরাময়যোগ্য নয়। যদি পারো
মিথ্যে করে হলেও একবার এসে দিয়ে যেও
ভালোবাসা-পেনিসিলিন। অপেক্ষায় আছি...