বউকে ভালোবাসলে বউ অনেক খুশি থাকে,
ঘর-গোছানো বাড়ি-উঠোন পরিচ্ছন্ন রাখে।
বড় স্যারের অফিস করে, শুনলো মতি বটে,
গম্ভীরতার স্বভাব, মতির- ঢুকলো বুঝি ঘটে।
পায়নি আদর ভালভাসা জীবনটি ভর বউটা,
চিন্তা করে মতি মিয়া মুখে লাগাম কৌটা।


স্যারের কথা শুনে মতির মনটা উঠে কেঁদে,
নরম সুরে বলবে কথা যতই থাকুক জেদে।
মনে মনে ভাবে মতি আজ থেকে রই সুখে,
বউটার কথা শুনে শুনে রাখবো তারে বুকে।


ধীরে ধীরে আসলো বাড়ি মধুর সুরে ডাকে,
আদর করে কাছে বসায় সুন্দরী বউটাকে।
বউতো অবাক! কী হতবাক!-স্বপ্ন দেখি আমি,
আজকে হঠাৎ কি হয়েছে! একি আমার স্বামী!
মতি বলে-দাওনা তুলে তোমার হাতের ভাত,
সেটাই খেয়ে কাটাই যেন ছোট্ট এমন রাত।
ভাতের সাথে তরকারীটা বেশ লেগেছে আহ!
তোমার হাতের এই রাধুনী খেতে দারুণ বাহ!
মাছের ঝোলটা আরো ভালো খেতে মজা ভারী,
এমন রান্না খেয়ে যেন মরতে আমি পারি।
অমনি বাটি আছাড় মেরে বউটা রেগে ভাগে,
ওড়না মুখে গুজে দিয়ে থাকলোনা এই বাগে।


খানিক পরে বউটা দেখে গুমরে কেঁদে রাগে,
তরকারীটার কথা তো আর শুনিনি কেন আগে!
যেই এনেছি তরকারীটা পাশের বাড়ির থেকে,
অমনি সেটা ভালো হলো! আমার এসো রেখে!


কিন্তু মতি এমনতরো চায়নি কো যে মোটে,
এইজীবনে ভালবাসা হঠাৎ কি আর জোটে?