পান্তাবুড়ির পান্তাচুরির
জন্য ভীষণ খ্যাপা,
নালিশ দিবে রাজার কাছে
করছে শুধু প্যাঁ প্যাঁ।


হাটছে বুড়ি, পুকুর থেকে
মাগুর দিলো ডাক,
যাচ্ছো কোথায়! ওহে বুড়ি
অমন করে রাগ!


ওরে বাপু -নিত্য চোরে
পান্তা চুরি করে,
নালিশ দিবো-রাজার কাছে
বলবো কি আর তোরে!


'নিয়ো সাথে'-ফেরার পথে
বিচার নাহি পেলে,
-তোমার হাড়ির ভেতর রেখো
আমায় ছুঁড়ে ফেলে।


এমনি করে 'গোবর' বলে
'ক্ষুরে'র কথাও একই,
বেল তলাতেও 'বেলের কথা'
চোরকে নিবে দেখি!


রাজা শুনে বলল- মশাই,
নেইতো সময় হাতে,
'আমার কাজে ব্যস্ত আমি'
হতাশ! বুড়ি তাতে!


দুঃখ মনে ফিরছে বুড়ি
নিলো পথের 'গুলো',
মাগুর বলে -'হাড়ি' আমার
বেলটা খোঁজে 'চুলো'।


'গোবর' বলে থাকবো পথে
চুলোর খানিক দূর,
ঘাসের ভীতর রইলো পড়ে
দাড়িকাটা 'ক্ষুর'।


চোর এসেছে সময়মতো
হাড়িতে দেয় হাত,
মাগুর কাটা'র হুল ফুটালো
চুলোতে দেয় তাঁত।


চুলোর 'বেলে' অন্ধ করে
গোবর লাগে পায়,
মুছতে গিয়ে ঘাসের ক্ষুরে
পা'তো বেঁধে যায়!


ফিনকি রক্ত বেরোয় পায়ে
পড়লো হামাগুড়ি,
ধরলো শেষে চোর ব্যটারে
পান্তা খাওয়া বুড়ি।


চোর এসেছে চোর ধরেছে
পান্তা বুড়ির ঘরে,
বন্ধুরা তার ঠিক করেছে
উচিৎ বিচার করে!


এমনি করে সুখেই আছে
পান্তা খাওয়া বুড়ি,
গ্রামের সেরা সুখে সে যে
নেইতো কোনো জুড়ি।


(গল্প অবলম্বনে লেখা)