মৌন কিছু শব্দ আছে
চুমোর শব্দ
শোনো  
প্রখর শ্রবণশক্তি দিয়ে
সাবলীল সমুদ্রে
জীবন আর কিছু না
যৌবন ধরে রাখা
ঠোঁটের উত্তাপ
যৌবন জানে না!  


মৃগনাভি স্মৃতি শুদ্ধতম বকুল
শব্দহীন সুখ অলৌকিক কাঠচাঁপা ফুল
উষ্ণতা অথবা জীবন
নদীর স্বপ্ন দেখে  
নবীন নলখাগড়ায় মরে যায় সূর্য
যেখানে সোনালি চুলের গুচ্ছ  
যথারীতি একা!


টেনে দেয়া হয়েছে জীবন্ত ঠোঁটগুলোর সীমা  
চুমো রাখি ঐ সব আঙ্গিনায়
যার আছে স্মৃতি
তোমার চোখের অবসিত অন্য এক আলোতে!


বিশ্বায়ন
শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোর
রক্তের সম্পর্কটাকেও ভেঙে দিয়েছে
মানুষের শ্রম, চব্বিশ ঘণ্টার মেধা সবকিছু
করেছে প্রথামত ব্যবহার
তাদের লুটপাটের কাজে
নিশ্চিতভাবেই!


পিঁপড়ে খেয়ে ফেলেছে দেয়ালটাকে  
দেয়াল ছুঁতে না পেরে
ঘুম ভেঙে পুনরায় ঘুমিয়ে পড়ে
পা ও জিভে আদর করতে করতে
অনভিজ্ঞ আঙুলে
অলৌকিক স্তন ও চিহ্নগুলো
চারপাশে ছড়ানো
আকাশটাকে ঝুলিয়ে কয়েক টুকরো শরীর
পাশেই পড়ে থাকে!


পৃথিবীর ভীষণ আত্মা চোখ ধাঁধিয়ে
চক্রাকারে ঘুরছে নিজ বলয়ে
এই শতাব্দীর গভীর ঘুম
দ্যাখে দুঃস্বপ্ন
ডানার ছায়ায় প্রসারিত ঊরুসমূহ
মানব-মানবীর দেহের
বেগুনী অলৌকিক গন্ধ
ভালোবেসে ভালোবেসে ছেড়ে গ্যাছে
একে অন্যকে
নিজস্ব ছায়ার ভিতরে


অতপরঃ
চিরকালের জন্য
একা অরণ্যযাপন!


যেখানে মধ্যরাত
শরীরের জরাগ্রস্ততায়
হৃদয়ের গভীর উৎসে
শিল্প আর সঙ্গীতে
আমরা আমরাময় হওয়াটা বড়ই আনন্দময়!


এটাই সত্যি—
ঐ রমণী, প্রশান্ত ও নির্মল, সুন্দর, ঘুমিয়ে ওখানে
স্বপ্ন দেখে,
মৌমাছির জন্য অন্য কোন ঘর!


ঘুমটা ভাঙ্গুক সম্পর্কটা নয়!
-স্বপ্নময় স্বপন©