কত গোপন অন্ধকারে
অনেক কথা বলেছিলেম
রোজনামচার শহর, পানশালা ও
উদ্যানগুলির কানে কানে
বিবিক্ত প্রান্তরে রাত্রি নেমে এলে!


একটি অন্ধলোক
মৃতকে ঢাকে নিজের দেহ ছিঁড়ে
বেশ যত্ন সহকারে
নিজেকে কেন খাচ্ছ বেকুব?
‘নিজেকে খেতে স্বাদ খুব’?


লোকটার পরনে মাটি
সভ্যতার চোখে শ্যামল রঙ কুমারী
হৃদয় ছুঁয়ে ঝড়
নারী, রাত্রির জানালা, শয়তান ও আমি!


স্বপ্নের অরণ্য বিস্তৃত ঘুঘুদের ডানায়
রঙধনুময় ঠোঁটে জলমগ্ন স্বপ্নচর
রক্তপিপাসু নক্ষত্র গোলাপ থেকে গোলাপে ব্যাপ্ত
চুম্বন ঘুমিয়ে থাকে স্তনের ছায়ায়
রক্তের কোলাহলমুখর চত্বর!


প্রতিটি আন্দোলনেরই যা মুদ্রাদোষ, পরচুলা প্রসাধন
যন্ত্রণার শহর প্রমত্ত গণিকার ঊরুবিস্তার
রাত্রি মানে আত্মার উন্মোচন!


হে সৌন্দর্যের নগ্ন ওষ্ঠদ্বয়!
খুলে দাও উৎসপথ
যখন
পাখীটি আঙুল দিয়ে গান গায়
সেই গানে নারীর স্তনদ্বয়ের মতো প্রলয়তুল্য
ভাষাহীনতায় অসহায় শব্দ গোঙায়।
কি মারাত্মক!ঘড়িতে তখন রাত বারোটা-কাঁটায় কাঁটায়!
-স্বপ্নময় স্বপন©