বাড়ির পাশের করচের গাছে খেলেছি কত হায়!
এখন কি আর চোখের সামনে এসব দেখা যায়।
সময় কাটাতে বেড়িয়ে যেতাম খেলার সাথী নিয়ে
গাছের ছায়ায় নৌকা বাঁধতাম পাটের রশি দিয়ে।
গাঁয়ের মানুষ নৌকা বাঁধতেন করচ গাছে সবে
নৌকা নিয়ে ভাই বেড়াতে যেতাম মনে চাইত যবে।
বিকাল বেলায় পাড়ার ছেলেরা খেলায় যেতো মাঠে
ঘুরতে কতেক চলে যেত রোজ বারো কুড়ির হাটে।
মাঝেমধ্যে কেউ বলতেন যদি তোরা কোথায় ছিলে
এক হয়ে ভাই উত্তর দিতাম এতেই মুক্তি মিলে।
হাটের দিনেতে সবার নৌকাই নিয়ে যেতেন হাটে
কখন আসবে অপেক্ষায় রই প্রিয় নৌকার ঘাটে।
বর্ষার পরেও কত করতাম করচ গাছে খেলা
দোলনায় চড়ে হইত সবার মনের সুখে মেলা।
দূরের পথিক হিজল বাগের ছায়ায় শান্তি খুঁজে
রোদের বেলায় গায়ের রাখাল সেথায় চোখ বুজে।
গাছের ছায়ায় ঘর বানাইয়া দিন কেটেছে কত
সুযোগ হলেই সেসব লেখতে পারবো আমি শত।
বৃষ্টিতে খেলায় সকাল দুপুর লাগতো খুবি বেশ
খেলায় কখনো ঝগড়া করলে সহসা হতো শেষ।
খাল-বিলে ভাই মাছ জমানোয় এসব গাছ লাগে
লাকড়ি হয়েছে সারা বছরের তার শুকনো ভাগে।
হাওর পাড়েতে হিজল করচ খুবই কাজে আসে
সারি সারি গাছ গ্রামকে বাঁচায় যখন জলে ভাসে।
করচ গাছের পাশে বসে আজ নিলাম কিছু লেখে
সবশেষে ভাই দিলাম আমার স্মৃতি পাতায় রেখে।
১৫ সেপ্টেম্বর, তাহিরপুর