একাত্তর দেখিনি বলে মনে মনে একটা যুদ্ধ দেখতে চেয়েছি অনেক রাত
মধ্যপ্রাচ্য ব্যাপী পৃথিবীর তাবৎ হনুদের সাজানো যুদ্ধ নয়, মারনাস্ত্র বহন করে কোন এক দেশের ওপর ছুঁড়ে মারার যুদ্ধ নয়
রক্তের মধ্যে ডুবে হোলি খেলার যুদ্ধ নয়
শক্তি প্রদর্শনের জন্য, কিংবা কোন বানিজ্য যুদ্ধও নয়।


স্রেফ একটা প্রেমের যুদ্ধ !
কঠিন একটা ভালোবাসার যুদ্ধ দেখতে চেয়েছিলাম বলে হাজার কালো রাত পাড়ি দেই
দুরাশার ঘেরাটোপে বাঁদুরের পাখা ঝাপটানো
আর আকাশের ঠিকানায় অলীক পত্রের অপেক্ষায় সময়গুনি নিরন্তর।


তোমার সময় হয়নি বলে ভালোবাসার যুদ্ধটা বাঁধলো না আর ;কেবল দেখেই গেলাম যবনের হিংসায় জ্বলেমরছে
গাজা আর রামাল্লার বিপন্ন মানুষের দল
ইয়েমেনের নিরন্ন অসহায় ক্লিষ্ট মানুষের হাহাকার
ক্ষুধার যন্ত্রনা বুকে সাগর পাড়ি দিয়ে ব্যর্থ আশ্রয় খোঁজার চেষ্টায় মৃত্যুর মিছিলে হাজারো নামের মাঝে কোন মায়ের সন্তান।
সিরিয়ার ছোট্ট চরম আহত বেহেশতি মেয়েটা
যে কিনা বলে গেলো," আমার আল্লাহর কাছে বলে দেবো আমি, তোমাদের নিপীড়নের কথা।
তোমরা আমাকে বাঁচতে দিলেনা। কী শান্তি তোমাদের কপালে লেখা তাও দেখতে পাবে নিশ্চয়ই একদিন।""


জানতে পারিনি কোন দুঃসময়ের তরণীতে ভর করে
পাড়ি দিচ্ছি অচেনা বৈতরণী!


গোটা আফ্রিকার বাজারে আজ
দুর্ভিক্ষের ছড়াছড়ি, মহামারির অতল তলে তলিয়ে যাচ্ছে সাড়ে সাতশত কোটি মানুষের বাসযোগ্য ধরণী।
ভালোবাসার যুদ্ধটা না বাধলেও যমে মানুষের
টানাটানির যুদ্ধটা অনিবার্য হয়ে গেলো ইদানিং
কতটা দূরত্ব  মেপে এ যুদ্ধের পরিধি ছড়িয়ে
একমাত্র ঈশ্বরেরই জানা থাকবার কথা।


বিপন্ন  আমি অসহায় দৃষ্টিতে কেবল
যুদ্ধের বিভীষিকা দেখি, কোন গোলাগুলির শব্দ নেই
কোনো বোমারু বিমানের ভূপাতিত হবার খবর নেই
এ্যাম্বুলেন্সের হুইসেলের সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে
কবরস্থানের পরিসর।
হাসপাতালের পেটের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে
নাকাল পৃথিবী


হা! ঈশ্বর! কী বিনিময় তুমি করতে চাহ সৃষ্টির
তোমার কি তাহলে এতগুলো মানুষ পছন্দ নয়?
কোন সৃষ্টি অন্তরালে রেখে তুমি নীরব যুদ্ধে
টেনে বাড়াচ্ছো মৃত্যুর মিছিল !


এবার ক্ষান্ত দাও। অসহায় চাঁদপানে তাকানো জলভরা চোখে গোটা বিশ্বময়
শুধু আকাশ হতেই অদৃশ্য ফয়সালা চায় ;
নিশ্চয়ই নিরাশ করবে না তুমি।
বাস যোগ্য কর, বাস যোগ্য করে দাও, হে ঈশ্বর ! বাসযোগ্য করে দাও আমাদের ভূমি।
*****************************
টুঙ্গিপাড়া,