নিঃশ্বাস ফেলা দায়
আমিও তো এসেছিলাম এমনি এক রক্তকণায়
হতেও পারতাম মায়াবী চোখে নারীর শরীর
না হয়ে হলাম এই স্বৈরাচারী পুরুষ বধির
শুনতে চাই না,থাকতেও পারে তার কোন আলাপন
ক্রর হেসে আমি নিজের চাহিদার দেই কেবল বিজ্ঞাপন
আমি যে পুরুষ!


জঙ্গল মহল নয়নাভিরাম পাহাড় পর্বত ওই যে সুদূর!
যাবতীয় ভোগবিলাস, মোহন বাঁশীর সুর
ওই যে সারি সারি ইমারত যন্ত্রদানবের মহরত
সবই যে আমার! একমাত্র আমারই অধিকার
আমি যে পুরুষ!


অধিকারে জন্মেছিলাম গর্ভে নারীর-
আমারই পূর্বসূরি গেঁথেছিল, পুরুষের পৌরুষে তাহার শরীর
তাই আমি তেজোদৃপ্ত পথে হেঁটে হেঁটে পৃথিবী নাচাই
আমারই খেয়ালে আমি নারীকে সাজাই
কেননা আমি যে পুরুষ!


কে বলেছে হেলেনকিলার কিংবা কিংবদন্তী সুন্দরী রমণীবালা
সবই তো যুগ হতে যুগে আমারই বুকের পাতাটনে
করছে খেলা।
মানছি না জন্মদায় স্নেহ প্রেম মায়া মমতার মৃত্যুপ্রায়
পৌরুষ ছুটিয়ে আমি উন্মাদ বলে, আজ আমার মৃত্যুর দায়, কেই বা নিতে চায়?


বেদ পুরাণ বাইবেল শূন্য ত্রিপটক কোরআন
পীর মুরশিদ শরীয়ত মারেফাত শন্ত ঠাকুর পোপ
মসজিদ মন্দির প্যাগোডা গীর্জা আশ্রম,
বেলতলা বটতলা মঠখোলা হাটখোলা সবখানে অগ্রে পুরুষের সমাগম।
নারী তার অনুষঙ্গ কেবল, প্রতারণা আর ছলনার ছোবল।
কেননা আমি যে পুরুষ!


বিদীর্ণ সমাজ, লুণ্ঠিত প্রেম পুরুষের অনিচ্ছুক দাস
পৃথিবীর গৃহকোণে চোখবুজে ছাড়ছে দীর্ঘনিঃশ্বাস।