বসে থাকি বাঁচবার জন্যে, বেঁচেও থাকি
দিনশেষে মুছতে মুছতে চোখ, বুকের ক্ষতটায় হাত বাড়াই
আমার সমস্ত চিৎকারগুলি বধির বাগানে
সমস্ত নিঃশব্দের কান্না ওড়ে নীরব আকাশে
ব্যস্ত পৃথিবী কারো কান্না শুনে থামবে কি ?


বসে থাকি, রোজ বসি বাঁচবার জন্যে
যাই তুমি ভাবো, তাতে কি ?
দিনশেষে মুছতে মুছতে চোখ, আবার বাঁচবার প্রহর গুনি।


নিঃশব্দকে ভালোবেসে একদিন চাঁদও নুইয়েছিল বুনোচালের ওপর, ভোরের সূর্য উঁকি দিয়েছিল পূবডাঙ্গার আকাশে, সোনামুখি চরে পাখিদের কলতান মুগ্ধ করেছিল।


এখনো জানা নেই, মুগ্ধ বাতায়নে বিবর্ণ রঙ হঠাৎ কেন বুকের পাশে বসে গিয়েছিল
হঠাৎ কেন ত্রিশূল হয়ে গেঁথেছিল পরাণের ভেতর
ত্রিশঙ্কু জীবনের সাথে সময়ের সাথে দুঃখের সাথে
এতোটা মল্লযুদ্ধে কেন যেতে হলো ?


তাহলে কী এ বেঁচে থাকা কোন বেঁচে থাকা নয়?