এও জানি তুলনাহীন আমি নই
আমার ভেতরের আমিকে খুঁজে চলি অবিরাম
খুঁড়ে খুঁড়ে আমার পাতালের স্বাদ নিতে চাই বলেই রাত জাগা পাখির সাথে আমি ও প্রকৃতির পাহারাদার হই।
নক্ষত্রের নিভু আলোয় পথ হাঁটি বন্ধুর
অবচেতনে কখনো বিলাতে যাইনা দুশমন ফুল
রাতের জোছনায় ফুটে তারার মত আলোর মিছিলে হারাই চেতনার রং
কুয়াশার চাদরে পরি প্রতিভার আত্নঘাতি ঘ্রাণ
আমিই তাই আমার চরম মরশুম।


অন্তত ডানা মেলে কখনো উড়বার ইচ্ছে জাগেনি বলেই কাগজের খাতার পাতায় বন্দী করে রেখে রেখে কেটে গেলো একটা শতাব্দীর অর্ধেক সময়
নিভৃতই ভালো ছিল বলে পায়চারী করে নিজের পাড়ায়
উত্তপ্ত হতেই সাধ ছিল বড়
অথচ শরতের কোন এক দলছুট শুভ্র মেঘ হাতছানি দিয়ে নিয়ে গেলো ওপাড়ায়
যত্রতত্র ছড়ানো ছিটানো শব্দের মালা চলে গেলো
মুহূর্তে লোকের ভিড়ে, পুলক চন্দনহীন।
আমার তৃপ্তির ঢেকুরে পুড়ে যাওয়া ফোসকা বিহীন শরীরের কটুগন্ধ মাতালো সামান্য সময়।


অতঃপর কতকগুলো কাটাযুক্ত সুশ্রী গোলাপ খোঁচা দিয়ে দিয়ে ক্ষয়ে নিয়ে গেলো দুর্দান্ত পরিশ্রমের আকাশ
যেখানে ক্ষয়িত স্বপ্নের ডানাহীন বসবাস।


আমার ভাবনার প্যারাসুটে অসীম রশির সমাহার কোথায় পাবো? হয়তবা আছে আরো অনেকটা কম
নিজেকে তাই আবার মোচড় দিয়ে যাবো, দৃপ্ত শপথে
যতটা সম্ভব।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
টুঙ্গিপাড়া,