আমাদের কোন পার্বণ ছিলো না
আমাদের মতো মানুষের কোনো পার্বণ থাকতে নেই
গওহারডাঙ্গা মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলের দুইদিনে আব্বা একটাকা করে দিতেন
ঈদে মামাবাড়ি যাওয়া আর আব্বার সাথে হাটে যাওয়া ছিল সবচে' বড় পার্বণ
এখন আব্বা নেই, মনের ভেতরে কোন পার্বণও নেই।


বাড়ি হতে বের হলে মায়ের চোখে বৃষ্টি নামতো,
মা ছিল আস্ত কলাগাছ, যার ডগা ধরলেই ঝর ঝর করে গড়িয়ে পড়তো জল,
তবুও মা ছিল পৌষের ওম মনের উত্তাপ
সুখ রাতের তারা
আর বাবা?
বাবা আমার আউশের ক্ষেত, জ্যৈষ্ঠের খরা,কার্তিকের দুর্ভিক্ষ, নবান্নের হাসি
আজ মাও নেই, জল শুকিয়ে হরিৎ বিকেল
বারোমাস দুর্ভিক্ষ, নবান্ন বলেও আমাদের কিছু নেই।